রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ ৪০ হাজার শলাকা বিদেশি সিগারেট আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ইংল্যান্ডে বেনসন অ্যান্ড হেজেজ ও আমেরিকার ৩০৩ ব্র্যান্ডের এসব সিগারেট ২০০ কার্টনে পাওয়া যায়।
রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে কাস্টমস হলের পরিত্যক্ত ৩টি ব্যাগেজ থেকে এসব সিগারেট জব্দ করা হয়। পণ্যের শুল্ক করসহ আটক পণ্যের মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান জাগো নিউজকে জানান, এনবিআর কর্তৃক ঘোষিত ৩১ ডিসেম্বর থেকে এনফোর্সমেন্ট মাসে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে এসব সিগারেট আটক করা হয়।
এসব সিগারেট পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫নং ব্যাগেজ বেল্টের পাশে ট্রলির উপর পাওয়া যায়। ৩টি ব্যাগে এসব সিগারেট লুকায়িত ছিলো। এর মধ্যে ২টিতে যাত্রীর ট্যাগ পাওয়া যায়।
গোপন সংবাদ থাকায় শুল্ক গোয়েন্দারা ব্যাগেজ বেল্ট নং ৫ থেকে ৮ এর উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখে। শুল্ক গোয়েন্দার সতর্ক উপস্থিতি টের পেয়ে যাত্রী তার মালামাল ট্রলিতে উঠানোর পরও ফেলে চলে যায়। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ২টার দিকে পরিত্যক্ত ৩টি ব্যাগেজ কাস্টমস হলে নিয়ে আসা হয় এবং আমদানি নিষিদ্ধ ৪০ হাজার শলাকা সিগারেট আটক করা হয়।
আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী সিগারেট প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কীকরণ লেখা ব্যাতিত বিদেশি সিগারেট আমদানি করা যায় না। সিগারেটের উপর উচ্চ শুল্ক (প্রায় ৪৫০%) পরিহারের জন্যই এসব সিগারেট আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুল্ক গোয়েন্দার ডিজি বলেন, লাগেজের ট্যাগ অনুযায়ী যাত্রী শনাক্ত করা হবে। আটক পণ্যের বিষয়ে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।