ব্যাট হাতে ভালোই এগোচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। তুলে নিয়েছিলেন ফিফটিও। কিন্তু খুব বেশি দূর যেতে পারলেন না। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটি করেই সাজঘরে ফিরলেন সাকিব।
৫৪ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৯ রান করেছেন বাংলাদেশের সেরা এই অলরাউন্ডার। তাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান লকি ফার্গুসন। আর তালুবন্দি হয়েছেন টিম সাউদির।
দলীয় ৪৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে যখন বিপদের মুখে বাংলাদেশ। তখন মাঠে নামেন সাকিব। তামিমের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। তবে তামিম ব্যক্তিগত ৩৮ রানে ফিরে গেলে, মুশফিককে নিয়ে খেলার হাল ধরেন তিনি। আর মুশফিকের সঙ্গে ৬৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন সাকিব।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান।
এদিকে, লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ উইকেট হারায় দলীয় ৩৪ রানের মাথায়। টিম সাউদির বলে লুক রঞ্চির হাতে ক্যাচ দিয়ে সবার আগে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশের এই ওপেনার বিদায়ের আগে ২১ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ১৬ রান করেন।
দলীয় ৪৮ রানের মাথায় দুটি উইকেটের পতন ঘটে টাইগারদের। দলকে হতাশ করেন সৌম্য। মাত্র ১ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। নিশামের বলে কেন উইলিয়ামসনের তালুবন্দি হন সৌম্য। ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এদিন নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। রানের খাতা খোলা আগেই ওই নিশামের কাছেই ধরাশায়ী হন মাহমুদউল্লাহ।
আশা দেখাচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। তিনিও থামলেন ৩৮ রানে। এবারও নিউজিল্যান্ডের পক্ষে উইকেট শিকারী সেই নিশাম। ৫৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ইনিংসটি সাজান তামিম।