ঢাকা:
৪৮ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) একটি প্লেন। এই আরোহীদের মধ্যে পাকিস্তানের জনপ্রিয় পপ তারকা জুনায়েদ জামশেদও ছিলেন। এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ২১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের চিত্রাল শহর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদে আসার পথে অ্যাবোটাবাদের কাছে হাভেলিয়ানে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রথমে নিখোঁজ হওয়ার খবর দিলেও পরে পিআইএ এক বিবৃতিতে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তারা আরও জানায়, ফ্লাইটটিতে জুনায়েদ জামশেদ, তার স্ত্রীসহ পরিবারের কয়েকজন মিলিয়ে ৪২ জন ছিলেন যাত্রী। ছিলেন পাঁচজন ক্রু এবং একজন গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার।
যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন তিনজন বিদেশিও। তবে এই বিদেশিদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি ছিলেন কিনা তা তৎক্ষণাৎ জানা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম জানায়, পিকে-৬৬১ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চিত্রাল থেকে উড্ডয়ন করে। এটি ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের নির্ধারিত সময় ছিল ৪টা ৪০ মিনিট। কিন্তু একটি বিপদ সংকেত দেওয়ার খানিকবাদেই প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।
সংশ্লিষ্ট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম জানায়, পিকে-৬৬১ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চিত্রাল থেকে উড্ডয়ন করে। এটি ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের নির্ধারিত সময় ছিল ৪টা ৪০ মিনিট। কিন্তু একটি বিপদ সংকেত দেওয়ার খানিকবাদেই প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান সরকারি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত তাজ মুহাম্মদ খান নামে একজন কর্মকর্তা বলেন, প্লেনটি এতো ভয়ানকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে যে, মনে হচ্ছে আরও কেউ বেঁচে নেই। সব দেহ পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে। খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে গেছে প্লেনটি।
আরেক কর্মকর্তা জানান, প্লেনটি পর্বত এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এটি একবার ভূমিতে আছড়ে পড়ে এবং তখন প্লেনটিতে আগুন ধরতে দেখা যায়।
ঠিক কী কারণে প্লেনটি এই দুর্ঘটনায় পড়েছে তা নিশ্চিত করেনি কোনো পক্ষ।