ঢাকা:
নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, বিএনপিকে তা মেনে নেওয়ার হলফনামা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হাসান মাহমুদ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে গত নির্বাচন বর্জন করে ভুল করেছে। শেখ হাসিনা তাদের যে আলোচনার জন্য ডেকেছেন তারা আসেননি।
তিনি বলেন, গত কিছুদিন ধরে বিএনপি অনুনয়-বিনয় করে বলা শুরু করেছে, আমাদের একটু ডাকেন, আমরা একটু বসতে চাই। নির্বাচন কমিশন নিয়ে সরকারের সঙ্গে বসার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছেন। তারা সংবিধান না পড়ে, প্রক্রিয়া না জেনে সরকারের কাছে দাবি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির রয়েছে। তিনিই নির্বাচন কমিশন করবেন। বর্তমান যে নির্বাচন কমিশন, তা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বিএনপিসহ সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠন করেছেন। নির্বাচন কমিশন গঠন করার পর সে কমিশনকে আগে এবং এখনো কীভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির প্রস্তাবের সারমর্ম তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব গেছে। দেরিতে হলেও প্রক্রিয়াটি অনুধাবন করার জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ। সংবিধান ইতোমধ্যে তারা পড়েছেন। প্রস্তাবে কি আছে জানি না। তবে সব প্রস্তাবের সারমর্ম হচ্ছে, এমন একটি নির্বাচন চাই যেটি খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে পারে।
রাষ্ট্রপতিতে অনুরোধ করে তিনি বলেন, দেশের জনগণ তো বিএনপির ইচ্ছানুযায়ী নির্বাচন কমিশন চায় না। বিএনপি যে ধরনের আবদার করবে বাংলাদেশে সে ধরনের নির্বাচন কমিশন গঠন তো সম্ভব নয়। বিএনপি যেমন প্রস্তাব দিয়েছে আ.লীগেরও তেমন প্রস্তাব দেওয়ার অধিকার আছে। শুধু বিএনপি নয় আ.লীগসহ সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে রাষ্ট্রপতির প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
বিএনপিকে অনুরোধ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে যেহেতু প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে নেবে বিএনপি, সেটিরও হলফনামা দিতে হবে। রাষ্ট্রপতি নিশ্চয় আ.লীগেরও কাছেও প্রস্তাবনা চাইবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্লেনে যান্ত্রিক ত্রুটি বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটি নিছক যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। বিমানের কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ার, কলা-কৌশলীদের নিয়ে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। সরকারকে অনুরোধ জানাবো, বিমানের কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ার, কলাকৌশলীদের বাদ দিয়ে অন্য একটি সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।
আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি এমএ জলিলের সভাপতিত্ব করেন।