নয় দফা দাবিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় ২৪ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশান এ ধর্মঘট ডেকেছে। মঙ্গলবার ভোর ৬ টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
এদিকে, ধর্মঘটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সকাল থেকে চট্টগ্রাম থেকে কোনো দূর পাল্লার যানবাহন চলাচল করেনি। বন্ধ রয়েছে নগরীর অভ্যন্তরে চলাচলকারী অটোরিকশা ও টেম্পু।
ধর্মঘটের সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে রিকশা চালকেরা। এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে বিভিন্ন স্পটে রিকশা চালকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ছাড়াও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
সকাল থেকে নগরীর ২ নম্বর গেইট, অক্সিজেন মোড়, বহদ্দার হাট, অলংকার,কদমতলি, একেখান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোনো ধরনের গণপরিবহন চলাচল করছে না। এসব স্পট গুলোতে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
শ্রমিক ফেডারেশনের দাবিগুলোর মধ্য রয়েছে- চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা রোড, উত্তর চট্টগ্রামের জন্য বাস, কোচ, ট্রাক, প্রাইমমোভার ট্রেইলার টার্মিনাল নির্মাণ, পুলিশের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ, চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার, অটোরিকশা, অটোটেম্পু পার্কিং স্পট নির্ধারণ, সরকার কর্তৃক ঘোষিত শ্রমিককল্যাণ তহবিলের টাকা সহজ পদ্ধতিতে প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, ২০১৩ সালের ১৩ই মার্চ তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও ৯ এপ্রিল ২০১৩ চট্টগ্রাম বি.আর.টি.এ এর সার্কুলারের মাধ্যমে ঘোষণাকৃত ৪ হাজার অটোরিকশার অবিলম্বে রেজিস্ট্রেশন প্রদান, সন্ত্রাসী কায়দায় সড়ক পরিবহন শ্রমিক সংগঠন দখল করার পাঁয়তারা বন্ধ, বিআরটিএ ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুগ্ম শ্রম পরিচালক দফতরের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদসহ নয় দফা দাবি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. মুছা জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে তাদের ধর্মঘট। দীর্ঘদিনের এসব সমস্যা সমাধানে সময় হাতে রেখে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেয়াসহ নিয়মতান্ত্রিকভাবে দাবি জানানো হয়েছে। এরপরও সরকার এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সাড়া পাননি তারা। তবে আজ দুপুরে পুলিশ কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে একটি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা রোড, উত্তর চট্টগ্রামের জন্য বাস, কোচ, ট্রাক, প্রাইমমোভার ট্রেইলার টার্মিনাল নির্মাণ, পুলিশের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ, চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার, অটোরিকশা, অটোটেম্পু পার্কিং স্পট নির্ধারণ, সরকার কর্তৃক ঘোষিত শ্রমিককল্যাণ তহবিলের টাকা সহজ পদ্ধতিতে প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, ২০১৩ সালের ১৩ই মার্চ তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও ৯ এপ্রিল ২০১৩ চট্টগ্রাম বি.আর.টি.এ এর সার্কুলারের মাধ্যমে ঘোষণাকৃত ৪ হাজার অটোরিকশার অবিলম্বে রেজিস্ট্রেশন প্রদান, সন্ত্রাসী কায়দায় সড়ক পরিবহন শ্রমিক সংগঠন দখল করার পাঁয়তারা বন্ধ, বিআরটিএ ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুগ্ম শ্রম পরিচালক দফতরের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদসহ ৯দফা দাবীতে