মালয়েশিয়ার নাগরিকদের সম্পদের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক কমেছে। ক্রেডিট সুইসে রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (সিএসআরআই) তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে এককভাবে ব্যক্তি এবং পরিবারগুলোর সম্পদের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় কমেছে। পরিবারগুলো আগের তুলনায় ২৬ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ গড়ে পাঁচ ভাগ সম্পদ খুইয়েছে। খবর মালয়মেইল অনলাইনের।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পদের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশের তালিকা প্রকাশ করে গ্লোবাল ওয়েলথ। রিপোর্ট অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার এক কোটি ৯ লাখ প্রাপ্তবয়স্কই ২০১৫ সালের তুলনায় দরিদ্র হয়েছে। এ বছর তাদের গড় সম্পদের পরিমাণ এক হাজার ৮৯৪ মার্কিন ডলার। অথচ গত বছর তারা এর চেয়ে বেশি সম্পদের মালিক ছিল।
একই সময়ে মালয়েশিয়ার প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ঋণের বোঝাও বাড়ছে। গত বছর তাদের ঋণের পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৫৪ মার্কিন ডলার, যা এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৪৬২ মার্কিন ডলার।
বর্তমানে মালয়েশিয়ার আয়ের স্তর দেশটিকে থাইল্যান্ড বা ভিয়েতনামের মতো দেশে পরিণত করেছে। তবে মালয়েশিয়ায় যে সবাই সম্পদ হারাচ্ছেন, তা কিন্তু নয়। বহু বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও গত বছর দেশটি নতুন আরো চার হাজার ধনকুবেরকে পেয়েছে। এটা একদিক থেকে দেশটির জন্য বড় ধরনের অর্জন।
তালিকা অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মাথাপিছু সম্পদের পরিমাণ চার হাজার মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটি বিশ্বের সপ্তম সম্পদশালী দেশে পরিণত হয়েছে।
অপরদিকে, জাপানের সম্পদ এ বছর ১৯ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ২৭ ভাগ সম্পদ হারিয়ে শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে আর্জেন্টিনা।