টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণে চুক্তি হওয়ার খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ভারত বাংলাদেশকে বলেছে, ‘সোমবার অফিস খোলার পর এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে তারা বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অণুবিভাগের মহাপরিচালক শামীম আহসান শনিবার রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুতে সরকারের অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে ভারতের ন্যাশনাল হাইড্রোপাওয়ার করপোরেশনের ২৪ অক্টোবরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি দেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি; তারা আমাদের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।’
মহাপরিচালক আহসান বলেন, ‘শনি ও রোববার ভারতীয় দপ্তরগুলো বন্ধ থাকায় সোমবার তারা আমাদের এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারবে বলে জানিয়েছে।’
বহিঃপ্রচার অণুবিভাগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে লিখিত বক্তব্যও প্রকাশ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর উজানে উত্তরপূর্ব ভারতের বরাক নদের ওপর টিপাইমুখ বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে একটি যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি করেছে ভারত।
গত ২২ অক্টোবর চুক্তিটি সই হয় দিল্লিতে। এ ধরনের চুক্তি করার আগে বাংলাদেশকে জানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা মানেনি ভারত।
যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্পে জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিগমের (এনএইচপিসি) ৬৯, রাষ্ট্রায়ত্ত জলবিদ্যুৎ সংস্থার (এসজেভিএন) ২৬ এবং মণিপুর রাজ্য সরকারের ৫ শতাংশ মালিকানা থাকবে।
এদিকে এনএইচপিসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দিল্লিতে গত ২২ অক্টোবর টিপাইমুখ বহুমুখী প্রকল্পের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে ও মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি সিং।
দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর ২০১০ ও ২০১১ সালে বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় মনমোহন সিং বলেছিলেন, ‘টিপাইমুখে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়।’
টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণে চুক্তির খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশের বিরোধীদল ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো শনিবার আবারও জোরালো কণ্ঠে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র ধ্বংসের কথা জানান।