আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল এমপি বলেছেন, ‘যতো দিন বেঁচে থাকবো, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সে অনুযায়ী কাজ করে যাবো। মনের মধ্যে যতোই দুঃখ-বেদনা থাকুক না কেন, দলের জন্য সর্বোচ্চ শ্রম দিতে প্রস্তুত আছি।’
সোমবার সন্ধ্যায় তার রাজনৈতিক জীবনের ৫৫ বছর পূর্তিতে তাকে দেওয়া সংবর্ধনার জবাবে আব্দুল জলিল এ কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আমরা সূর্যমুখী।
দলে শেখ হাসিনার একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য তার নিজের ও রাজ্জাক-তোফায়েল-আমুর অবদান রয়েছে উল্লেখ করে আব্দুল জলিল আরো বলেন, আমরা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। সেজন্য আমরা কাজ করছি।’
অনুষ্ঠানের অতিথি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি বলেন, ‘আমরা অনেক কাজ ও কথার সাক্ষ্য বহন করি। বিরোধীরা অনেক সময় অনেক কথা বলেন। আমরা এতে কিছু মনে করি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কঠিন সময় অতিক্রম করে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করছি।’
আমু বলেন, আব্দুল জলিল দলের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে মহাজোট গঠনে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। এরই ফলশ্রুতিতে ২০০৮ সালে জনরায় নিয়ে নিরংকুশ ক্ষমতা অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ।
দলের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও অন্তর্দ্বন্দ্ব কখনোই ছিল না উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু আরো বলেন, দলকে বিভক্তির হাত থেকে রক্ষায় আব্দুল জলিল আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন।
সংগঠনের সমন্বয় সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান কায়সার, সংগীত শিল্পী ফাতেমাতুজজোহরা প্রমুখ।