সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে কফি আনানের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা আংশিক ভাবে বাস্তবায়ন শুরুর অঙ্গীকার করেছেন। সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সিরিয়া পরিস্থিতির ওপর এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কফি আনান এ তথ্য জানান।
তবে এখন পর্যন্ত প্রস্তাবিত শান্তিপরিকল্পনা অনুযায়ী সহিংসতা বন্ধে উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি হয়নি বলেও এসময় স্বীকার করেন তিনি ।
পাশাপাশি কফি আনান এই সময়সীমার মধ্যে বিরোধীদের ওপর হামলা চালানো বন্ধ করতে বাশার আল আসাদের ওপর চাপ জোরদার করতে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।
এদিকে সর্বশেষ ঘোষিত সময়সীমার মধ্যেই দামেস্ক কফি আনানের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা আংশিক ভাবে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত। তবে একই সঙ্গে তিনি সহিংসতা বন্ধে সরকার বিরোধী পক্ষের তরফেও আন্তরিকতা দাবি করেন।
প্রস্তাব বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শহর এলাকায় সেনাবাহিনীর চলাফেরাকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি শহর এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র সরিয়ে নিয়ে পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহার করা হবেও বলে জানান তিনি।
সোমবারের বৈঠকে কফি আনান শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর গৃহীত পদক্ষেপ পর্যবেক্ষনের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি সিরিয়ায় একটি মিশন পাঠানোর আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে আনানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও সিরীয় বাহিনী ট্যাংক বহরের সমর্থনে বিদ্রোহী অধ্যূষিত এলাকাগুলোতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
সিরিয়ার সরকার বিরোধী লোকাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবসার্ভেটরি ফর হিউমান রাইটস দাবি করেছে , বিদ্রোহীরা একটি হাসপাতালের ফ্রিজ থেকে ৭০ টি অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে এগুলো পূর্বের লড়াইগুলোতে সরকারি বাহিনীর হাতে নিহত ব্যক্তিদের লাশ।
জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী সিরিয়ার সহিংসতায় এখন পর্যন্ত নয় হাজার লোক নিহত হয়েছেন।