ম্যাচের ৩৫ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ পান নেইমার। তবে রক্ষণের ভুলে ডি-বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েও নিজে শট না নিয়ে সামনে বল বাড়ান, সতীর্থরা কেউ ছিল না সেখানে। আর ম্যাচের ৪১ মিনিটে লুইস সুয়ারেসের জোরালো হেড দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দেন স্কটিশ গোলরক্ষক ক্রেইগ গর্ডন। ফলে ১-০-তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বার্সা।
বিরতি থেকে ফিরে বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগানের দৃঢ়টায় সমতায় ফিরতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকেরা। ৫৫তম মিনিটে ডিফেন্ডার এমিলিও আর্তুরো নিজেদের ডি-বক্সে লুইস সুয়ারেসকে টেনে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। তা থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত মেসির এটি নবম গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার মোট গোল হলো ৯২টি।
৬৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণের সুবর্ণ সুযোগ হারান মেসি। বাঁ-দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে নেওয়া শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ৭১তম মিনিটে সুইডিশ ডিফেন্ডার মিকায়েল লুসটিগের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন নেইমার। দুজনকেই দেখতে হয় হলুদ কার্ড। এর ফলে গ্রুপের শেষ ম্যাচে খেলতে পারবেন না নেইমার।
ম্যাচের ৮৪ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখাতে পারতেন সুয়ারেস। কিন্তু মেসির ছোট পাস ধরে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে তার নেয়া শট পোস্টে লাগলে ব্যবধান আর বাড়েনি। ফলে বাকি সময় আর গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা। অন্য ম্যাচে বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে নকআউট পর্বের টিকিট নিশ্চিত হয়ে গেছে ম্যানচেস্টার সিটির।