ঢাকা: সুবিশাল ৩৬০০ টনের ‘ফ্লোটিং ক্রেন’ এসে পৌঁছেছে মাওয়ায়। চট্টগ্রাম বন্দরের একটি বিশেষ টাগ বোটে করে এটি মাওয়ায় নিয়ে আসা হয়। যা পদ্মাসেতুর সুপার স্ট্রাকচার (স্প্যান) স্থাপনের কাজে ব্যবহার হবে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে মাওয়ায় পদ্মাসেতু নির্মাণাধীন এলাকায় এসে পৌঁছে ক্রেনটি।
গত ১২ অক্টোবর চীনের জোহাও থেকে মাদার ভেসেলে করে ক্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে পাঠানো হয়। শুক্রবার কুতুবদিয়া চ্যানেলে আসার পর কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এটি মাওয়ার পথে রওনা হয়।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, ৩৬০০ টনের ক্রেনটি দিয়ে সুপারস্ট্রাকচারকে পাইলের ওপর ‘আপলিফটিং’ উত্তোলন করা হবে।
কিছুদিন আগে লুক্সেমবার্গ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিলো পদ্মাসেতুর রেল লাইনের স্ট্রিংগার। সব মিলিয়ে এখন পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৩৯ ভাগে পৌঁছেছে।
এর আগে পাইলিং কাজের জন্য বিশেষ হ্যামার এসেছিলো জার্মানি থেকে। এছাড়া ভারতের পাকুর থেকে আনা বিশেষ পাথরে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ করা হয়েছে।
৬ কোটি জনঅধ্যুষিত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ দ্রুত ও সহজ করতে পদ্মাসেতু তৈরি করা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর এটিই দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেতু বিভাগ বাস্তবায়ন করছে পদ্মাসেতু। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারে দ্বিতলবিশিষ্ট এ সেতু দিয়ে যানচলাচল শুরু হবে ২০১৮ সালে।