ঢাকা: শিগগিরই চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবা (ফোরজি) চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবার মান নিয়ে সরাসরি ভোক্তা সাধারণের মতামত জানতে প্রথমবারের মতো গণশুনানির শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার পর রমনায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে শুনানিতে সাংবাদিকসহ প্রায় ১৯০ জন উপস্থিত রয়েছেন।
বিটিআরসি জানিয়েছিল, শুনানিতে অংশ নিতে এক হাজার আবেদনের মধ্য থেকে প্রায় পাঁচশ’ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, অতি শিগগিরই ফোরজি চালু করবো। তখন আরও ভালো সেবা পাবেন গ্রাহকরা। আগামী বছরের শুরুতে এমএনপি চালু করবো। ভোক্তাদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রাণান্তকর কাজ করে যাচ্ছি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রতি ছয়জনে পাঁচজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, পৃথিবীতে এমন উদাহরণ বিরল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ফলে অপরাধের সংখ্যা ভীষণভাবে কমে গেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকেও আমাদের এমনটা জানানো হয়েছে।
ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, টেলিফোন অ্যাক্ট ৮৭ এর ক ধারায় বলা হয়েছে, মাঝে মধ্যে শুনানি করতে হবে। প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর গণশুনানির আয়োজন করে মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে সেবা প্রদান করবো।
গণশুনানিতে মোবাইল সেবার মান বিশেষ করে কল ড্রপ, ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্যাকেজ ও মূল্য সম্পর্কে জনগণের সরাসরি মতামত নেওয়া হবে।
গণশুনানিতে মোবাইল ফোনের কলড্রপ ও বিভিন্ন প্যাকেজ (ভয়েস, ডাটা, বান্ডল) এবং এর মূল্য সম্পর্কে অভিযোগ ছাড়াও বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন, সাইবার অপরাধ, মোবাইল ফোনে হুমকি, ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপত্তা, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, মোবাইল অপারেটরদের কলসেন্টারের মাধ্যমে সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য টেলিকম সেবা প্রদানকারীদের প্রদত্ত সেবার বিষয়ে জনসাধারণ/গ্রাহকের অভিযোগ ও এ সম্পর্কিত বিভিন্ন মতামত গ্রহণ করা হবে।
বিটিআরসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মোবাইল ফোন অপারেটর ও বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত পদস্থ কর্মকর্তা অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে মতামত প্রদান করবে বলে জানায় বিটিআরসি।
সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ও ভোক্তা সংঘের প্রতিনিধি, আইনজীবী, শিক্ষক, গবেষক, গণমাধ্যমকর্মী ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীসহ নিবন্ধনকৃত গ্রাহকরা এতে অংশ নিচ্ছেন।