ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার বাসিন্দা রওশন আরা ও গৃহকর্মী কল্পনা (১২) খুনের মামলায় দুই আসামিকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার রেল কলোনি এলাকার মৃত হারুণ হাওলাদারের ছেলে সাঈদ হাওলাদার ও কুমিল্লার মুরাদনগর থানার বাড়ৈইবাড়ি এলাকার জনৈক মোসাদ্দেকের ছেলে রিয়াজ নাগরালী।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় প্রদান করেন।
রায়ে গৃহকর্তী রওশন আরা ও গৃহকর্মী কল্পনা আক্তার খুনের ঘটনায় আলাদা আলাদা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আলাদা আলাদাভাবে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
জোড়া খুনের ঘটনায় জোড়া মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও যেকোনো একটি খুনের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে অপরটির প্রয়োজন হবে না।
২০১৫ সালের ২৪ মার্চ যাত্রাবাড়ী থানাধীন উত্তর যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টির ভিকটিম রওশন আরার বাসায় দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করেন আরেক ভিকটিম গৃহকর্মী কল্পনা আক্তারের ভাই সাঈদ ও তার বন্ধু রিয়াজ। বিকেলে কল্পনাকে পাশের দোকানে ওষুধ আনতে পাঠিয়ে তারা বাসায় চুরির চেষ্টা করেন। এতে গৃহকর্তী রওশন আরা বাধা দেন। তখন তারা রওশন আরাকে জবাই করে খুন করেন।
ততক্ষণে কল্পনা বাসায় ফিরে এসে আসামিদের খুন করতে দেখে ফেলায় কল্পনার ভাই আসামি সাঈদ ও তার বন্ধু রিয়াজ তাকেও গলাকেটে হত্যা করেন। এরপর তারা বাসা থেকে নগদ টাকা, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন চুরি করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় কল্পনার ভাই মোজাম্মেল হোসেন যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপরই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে তারা জবানবন্দি দেন।
রায় ঘোষণার আগে ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি মাহফুজুর রহমান লিখন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সবুর ও জাকির হোসেন।