নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় সব আসামিকে রশিতে ঝুলিয়ে ফাঁসির আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। সেই সঙ্গে নূর হোসেনের পরিকল্পনায় র্যাব সদস্যদের মাধ্যমে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাত জনকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে এমন প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষ এ আবেদন জানান।
সোমবার আদালতের কার্যক্রম সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত চলে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ১৫ জন আসামির আইনজীবীরাও তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। বাকি ২০ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্কের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতের যুক্তিতর্ক স্থাপন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা ৭ মিনিট পর্যন্ত তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরিকল্পনা, বাস্তবায়নসহ এ ঘটনার প্রতিটি ধাপে আসামিদের সম্পৃক্ততা তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী রশিতে ঝুলিয়ে সব আসামিদের ফাঁসি দাবি করা হয়েছে।
ওয়াজেদ আলী বলেন, চার্জ গঠন থেকে শুরু করে আজ ছিল মামলার ৩৪তম কার্যদিবস। এ মামলার ২১ আসামি এবং ২০ সাক্ষী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার পক্ষে ১৬৪ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে, যার মধ্যে ৬০ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী।