২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনে মনোয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ১ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৩ ও ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১১ ডিসেম্বর ও প্রতীক বরাদ্দ ১২ ডিসেম্বর।
রোববার দুপুরে ইসির মিডিয়া সেন্টারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মোবারক, আবু হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।
কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ভোটহগ্রহণ চলবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। প্রার্থীকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট জেলার ভোটার হতে হবে।
এ নির্বাচন প্রতিটি জেলা শহরে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের জন্য প্রত্যেক জেলায় ১৫টি করে বুথ থাকবে এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন প্রিজাইডিং অফিসার ও রিটানিং অফিসার।
জেলায় অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
জনপ্রতিনিধিরা শুধু ভোটই দিতে পারবেন, প্রার্থী হতে পারবেন না। আর বাংলাদেশের ২৫ বছর বয়সী যেকোনো ভোটার জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারলেও ভোট দিতে পারবেন না।
ভোটার প্রায় ৬৫ হাজার
কমিশন সচিবালয়ের হিসাব অনুযায়ী, তিন পার্বত্য জেলা বাদে সারাদেশের ৬১টি জেলা পরিষদে প্রায় ৬৫ হাজার জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তারাই নির্বাচনে ভোট দেবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদে।
প্রতিটি ইউপিতে জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ ভোটার ১৩ জন। এই হিসাবে সাড়ে ৪ হাজার ইউপির ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৮ হাজার ৫০০ জন। এছাড়া ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে তিনজন করে প্রায় দেড় হাজার, ৩২০টি পৌরসভায় সাড়ে ৫ হাজার এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে প্রায় সাড়ে ৫০০ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন।