ডিসিসি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের চিন্তা নেই: সিইসি রকিব

ডিসিসি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের চিন্তা নেই: সিইসি রকিব

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন(ডিসিসি) নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের(ইসি)সেনাবাহিনী নিয়োগের কোনো চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

পাশাপাশি বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে পেশি শক্তি ও কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করে উৎসব মুখর পরিবেশে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার ডিসিসি নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কমিশন সভা শেষে শেরে বাংলানগরস্থ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমানে নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাই রাখছে ইসি। আমরা মনে করছি পুলিশই নির্বাচনের অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট। শুধু শুধু তিলকে তাল বানিয়ে লাভ নেই।

আগামীকাল ৪এপ্রিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে নির্বাচন নিয়ে ইসি বৈঠক করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত ডিসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ইসি সচিবালয়ের ২জন নিজস্ব কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এ বৈঠকে।

মঙ্গলবারের কমিশন বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, আবদুল মোবারক, জাবেদ আলী, মো. শাহনেওয়াজ ও ইসি সচিব মোহাম্মদ সাদিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি জানান, ২ ভাগে ডিসিসি’র নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি ইসির রয়েছে। মধ্য এপ্রিলের আগেই এ নির্বাচনের তফসিল দেওয়া হবে। ২৯ মে’র মধ্যে নির্বাচনের কথা রয়েছে এ সিটি করপোরেশনে।

আসন্ন এ নির্বাচন উৎসবমুখর পবিবেশে হবে আশা রেখে কাজী রকিব বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। এখন ভালো সিচুয়েশন মনে হচ্ছে। খুব ফেস্টিভ মুডে এ নির্বাচন করতে পারবো আমরা।’

নির্বাচনের কোনো ধরনের পেশিশক্তি যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘প্রার্থীদের কথায় আমরা প্ররোচিত হবো না। কোনো মাসলম্যানের যেনো স্কোপ না থাকে এখানে। নির্বাচনী এলাকায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, নিজস্ব পর্যবেক্ষকসহ তদারকি দল রাখার চেষ্টা করা হবে।’

ডিসিসিতে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে কাজী রকিব জানান, আইন শৃংখলা রক্ষায় স্বাভাবিকের বাইরে কিছু করা হবে না। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন মেনেই আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। স্থানীয় সরকার আইনে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সেনা বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী নেই।

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনী আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় যথেষ্ট বলে জানান সিইসি।

প্রয়োজন হলে নিয়মিত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বাইরে যেতে হলে যাবো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ডিসিসি নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে প্রার্থীদের সহযোগিতা কামনা করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘প্রার্থীরা যেহেতু জনগণের সেবা করার জন্য আসছেন তাই তারা অবশ্যই জনগণের সঙ্গে থাকবেন এবং আমাদের হেল্প করবেন।

বাংলাদেশ