চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী সাবের আলীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রহুল আমিন এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাবের আলী পলাতক রয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাবের আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বেগম এবং নিকটাত্মীয় জামাল হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নগরীর পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ হাউজিং সোসাইটিতে জজ সাহেবের বাসায় থাকত সাবের আলী ও তার স্ত্রী আরজু বেগম। মনোয়ারা বেগমকে বিয়ে করা নিয়ে সাবের ও আরজুর মধ্যে মনোমালিন্য হয়।
১৯৯৪ সালের (০১ অক্টোবর) বাসা থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ দূরে ঝুলন্ত অবস্থায় আরজু বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ আরজু আত্মহত্যা করেছে বলে তথ্য পায়।
ঘটনার ৮দিন পর (০৯ অক্টোবর) আরজুর বাবা নাজির হোসেন স্বামী সাবেরসহ তিনজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, তিনজন মিলে আরজুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে।
পাঁচলাইশ থানা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদিন তদন্ত শেষে ১৯৯৫ সালের ১২ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
১৯৯৭ সালের ২২ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় মোট ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়।