বাংলাদেশের শ্রমবাজারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া। ৭ লাখেরও বেশি বাংলাদেশির বসবাস সেখানে। নানা প্রয়োজনে প্রতিদিন তাদের যোগাযোগ করতে হয় হাইকমিশনে। এ বিপুল সংখ্যক প্রবাসীকে সেবাদানে সময় সূচীর পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
দূতাবাসের প্রধান ফয়সল আহমেদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে যে, মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (নতুন) আবেদন গ্রহণ দুপুর ১২টা থেকে ৩টা, পুরাতন পাসপোর্ট ৩টা থেকে বিকাল ৫টা। পাসপোর্ট বিতরণ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা। পাসপোর্টে জন্ম তারিখ ও সংশোধন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। বিতরণ পরের দিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা। জন্ম নিবন্ধন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। বিতরণ পরের দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। পরিচয় পত্র প্রত্যয়ন, এলওআই, পারিবারিক সনদপত্র সত্যায়ন, আমমোক্তারনামা ইত্যাদির আবেদন গ্রহণ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। বিতরণ পরের দিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। ট্রাভেল পারমিট সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টায় গ্রহণ এবং পরের দিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিতরণ।
মৃতদেহ সংক্রান্ত কেস আবেদন গ্রহণ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে প্রদত্ত তারিখে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টায় বিতরণ। শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, আইনগত সহায়তা এবং অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টায় আবেদন গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে প্রদও তারিখে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টায় বিতরণ।
ভিসা সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং বিতরণ সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে প্রদত্ত তারিখে বিকাল ৪টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়ন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। আবেদন গ্রহণ এবং বিতরণ সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে প্রদও তারিখে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। আগামী ২১ নভেম্বর হতে হাইকমিশন থেকে উল্লেখিত সেবা সমূহ প্রদান করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
পাসপোর্ট বিভাগে নিযুক্ত ফার্ষ্ট সেক্রেটারি মশিউর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা শ্রমিকদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এছাড়া জহুরবারু, পেনাং, মালাক্কা, সারওয়াক, ক্যামেরুন হাইলেন্ডসহ দূরের প্রদেশগুলোতে মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে পাসপোর্টের আবেদন ও ডেলিভারির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাতে শ্রমিকদের নতুন পাসপোর্ট পেতে অসুবিধা না হয়।