বাংলাদেশ-সৌদি আরব সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ধর্ম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপি বলেছেন, সৌদিতে ৭০ হাজার বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু সে দেশের সেল্টার সেন্টারে নির্যাতনসহ অন্যান্য কারণে মাত্র ৩১৫ নারী রয়েছেন। তাই সেখানে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ খুবই নগণ্য।
বুধবার জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি একথা বলেন।
এর আগে ৬ সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল গত ৫ থেকে ১৩ নভেম্বর সৌদি আরব সফর করেন। ওই বিষয়েই এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
সৌদি আরব সফরকালে প্রতিনিধিদলটি দেশটির মজলিশে শুরার প্রধান (স্পিকার), শ্রমমন্ত্রী, ধর্মমন্ত্রী ও ওআইসির মহাসচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
বিএম হারুন হলেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শ্রমিকদের নিয়ে সৌদি আরবের অভিযোগ- তারা যথাযথভাবে ট্রেনিংপ্রাপ্ত নন। এছাড়া বয়স কম দেখিয়ে অনেক নারীকে সেখানে পাঠানো হচ্ছে। আর অনেক পুরুষ শ্রমিক সেখানে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এসবের জবাবে কমিটির সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশিরা নয়, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে সৌদিতে গিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, আগামীতে যাতে শ্রমিকেরা সঠিক ট্রেনিং নিয়ে সেখানে যায়- এ ব্যাপারে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করবে কমিটি।
কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, সেখানে নারীদের কাজ করার প্রধান সমস্যা ভাষা। এছাড়া ওই দেশের রুটি খেতে পারেন না বাংলাদেশিরা। আর রীতি অনুযায়ী সৌদিরা রাতে আত্মীয়দের বাসায় যান এবং পার্টি দেন। সেখানে মাত্র একজন গৃহকর্মীকে গভীর রাত পর্যন্ত সব সামলাতে হয়।
বাংলাদেশের হাজিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে কেন?– সৌদি কর্তৃপক্ষের এ প্রশ্নের জবাবে কমিটির সদস্যরা জানান, বাংলাদেশে জনগণের আর্থিক উন্নয়ন হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে ধর্মীয় সচেতনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য হাজিদের সংখ্যা বাড়ছে।
নজরুল ইসলাম আরো জানান, কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশ থেকে হাজিদের কোটা আরো বৃদ্ধির অনুরোধ করলে বিষয়টি বিবেচনার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সৌদি কর্তৃপক্ষ ।