কসাইদের কাছে জিম্মি গাবতলীর পশু ব্যবসায়ীরা

কসাইদের কাছে জিম্মি গাবতলীর পশু ব্যবসায়ীরা

30রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটের পশু ব্যবসায়ীরা কসাইদের কাছে জিম্মি বলে দাবি করেছেন তারা। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

পশু ব্যবসায়ীরা বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মাংস ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে নগদে ও বাকিতে গরু, মহিষ ক্রয় করেন। শুধু মৌখিকভাবে এ কেনাবেচা হয়। যার কোনো কাগজপত্র থাকে না। কিন্তু যখন মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে বাকিতে পশু বিক্রয়ের পাওনা টাকা চাওয়া হয় তখন তারা বিভিন্ন তালবাহানা করেন। এতে করে হাটের অনেক বেপারি নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

আর এসব বিষয়ে  মাংস ব্যবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ করলে তারা মোটা অংকের কমিশন নিয়ে পাওনা টাকার কিস্তি করে দেন। আর কমিশন না দিলে টাকা ফেরত অনিশ্চিত হয়ে যায়। এভাবেই মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন গাবতলীর পশু ব্যবসায়ীরা।

রাজশাহীর জাবেদ আলী বেপারি বলেন, মৌলভীবাজারের মাংস ব্যবসায়ী জানু হাজির কাছে তিন মাস আগে চার লাখ টাকার গরু বিক্রি করেন। এখন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির হস্তক্ষেপে প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকার কিস্তিতে এ টাকা পরিশোধ করছে। এতে করে নগদ টাকা  বিনিয়োগ করে নিতে হচ্ছে কিস্তিতে।

সংবাদ সম্মেলনে গাবতরী পশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও হাট  ইজারাদার হাজী মজিবর রহমান বলেন, গাবতলী পশুর হাটে কোনো চাঁদাবাজি হয় না। আর ইজারাদাররা কোনো বাড়তি খাজনা আদায় করে না। উল্টো বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বিভিন্ন সময় পশু ব্যবসায়ীদের কাছে পাওনা টাকা আদায়ের নামে কমিশন বাণিজ্য করছে।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির ব্যনারে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে, রাজধারীর গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদার হাজী মজিবর দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে। এর প্রতিবাদ করায় মাংস ব্যবসায়ীদের উপর বিচারের নামে শারীরিক আক্রমণ, জোর জুলুম ও চাঁদাবাজি করছে বলে দাবি করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গাবতলী গরুর হাটের বেপারি মেহের আলী, মাহবুব রহমান, আরমান আলী, কাশেম আলী, বন্দর আলীসহ অন্যান্য পশু বেপারিরা। তবে গাবতরী পশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি থাকলেও সমিতির অন্য কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না।

বাংলাদেশ