মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার নিয়োগ দেওয়া নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। মূলত প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়ায় এমনটি হয়েছে।
ট্রাম্পের নিয়োগ কমিটিতে থাকা একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন অনলাইনের মঙ্গলবারের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। মার্কিন এ সংবাদমাধ্যম বিষয়টিকে ‘ছুরি-কাটারি যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ দুটি পদে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে নিয়োগ কমিটির মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। মূলত বিভক্তির শুরু হয়েছে রেইন্স প্রিবাসকে চিফ অব স্টাফ ও স্টিভ ব্যাননকে প্রধান কৌঁসুলি নিয়োগের ঘোষণার পর থেকে।
রিপাবলিকান জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান রেইন্স প্রিবাসকে প্রচলিত ধারার বলে মেনে নিলেও ব্রিটবার্ট নিউজের প্রধান স্টিভ ব্যাননকে মানতে পারছে না অনেকেই। আর প্রিবাস, ব্যানন ও ট্রাম্পের জামাই জারেড কুশনারের ভূমিকা ও ক্ষমতা নিয়েও কোনো স্পষ্টতার অভাব রয়েছে। জারেড কুশনার নির্বাচনের প্রচারের সময় অন্যতম ভূমিকা রাখেন।
এ পরিস্থিতিতে রিপাবলিকানদের অনেকেই মশকরা শুরু করেছেন। আবার কেউ কেউ এ পরিস্থিতিকে ছুরি-কাটারি যুদ্ধ বলে মন্তব্য করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়োগ কমিটিতে বড় ধরনের বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক হিসেবে কাকে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে তা নিয়ে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে তা নিয়েও ঐকমত্য হয়নি। রুডি গিলানি ও জন বল্টন আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তালিকায়।