বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ড. ফরাস উদ্দিন কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ না করায় বিষয়টি নিয়ে জনগণ অন্ধকারে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ২৯তম বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশের এতগুলো টাকা চুরি হয়ে গেল। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলেও প্রকাশ করা হচ্ছে না। জানি না কাকে বাচাঁতে এটি করা হচ্ছে। এ জন্য সংসদীয় কমিটি ক্ষুব্ধ।’
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, বিগত বৈঠকে কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির বিষয়ে ড. ফরাস উদ্দিন কমিটির রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে চান। শওকত আলী বলেন, রিপোর্ট যদি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় তাহলে কমিটিতেও দিতে পারে। কারণ সংসদীয় কমিটি সংসদেরই অংশ। জবাবে কমিটি সচিব জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগ থেকে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক রিপোর্টের কোনো কপি কমিটির কাছে পাঠায়নি।
কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, এই রিপোর্ট সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নরকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ছিল। রিজার্ভের টাকা চুরির ব্যাপারে পত্রিকায় নানা কথা আসছে। কিন্তু রিপোর্ট প্রকাশে ধুম্রজাল সৃষ্টি হওয়ায় জনগণ অন্ধকারে রয়েছে। কমিটির আরেক সদস্য হাবিবর রহমান বলেন, বিষয়টি স্পষ্ট করে জানানো দরকার। জনগণকে না জানিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এদিকে সংসদ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ডের (বিএএসবি) সার্বিক কার্যক্রম ও বিগত ৫ বছরের অডিট আপত্তি নিয়ে আলোচনা হয়।
কমিটি বিএএসবিকে দ্রুত একটা আইনি কাঠামোর অধীনে এনে এর সাংগঠনিক কাঠামোকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার সুপারিশ করে। এছাড়াও বিএএসবি এর অডিট আপত্তিসমূহ দ্বিপাক্ষিক বা ত্র্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে আইন সংগতভাবে দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশ করেছে কমিটি।
কমিটির সভাপতি শওকত আলী সভাপতিত্বে কমিটি সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, আবদুর রউফ এবং অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার বৈঠকে অংশ নেন।