মিসরের পার্লামেন্টের অধিকাংশ আসন নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুড আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে দলের অন্যতম প্রধান নীতি নির্ধারক এবং সহকারী প্রধান খাইরাত আল শাতেরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
কায়রোতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেওয়া এই ঘোষণার ফলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্রাদারহুডের প্রার্থী দেওয়া না দেওয়া নিয়ে সৃষ্ট দোলাচলের অবসান ঘটলো বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার সিদ্ধান্তকে ঘিরে দলটির প্রধান নীতিনির্ধারনী ফোরাম শুরা কাউন্সিলের মধ্যেও দ্বিধা বিভক্তি দেখা দেয়। এক পক্ষ নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণের বদলে অপর কোন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলো। তবে দলের তরুন প্রজন্ম এবং কট্টরপন্থীরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেদের দলীয় প্রার্থী দেওয়ার পক্ষে অনড় থাকে।
নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া প্রসঙ্গে ব্রাদারহুডের অন্যতম প্রধান নীতি নির্ধারক মাহমুদ হোসেইন বলেন বিপ্লব ব্যর্থ করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেই নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রাদারহুড।
পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর ব্রাদারহুড বেশ কয়েকবারই ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীসভা গঠনের আহবান জানালেও জেনারেলরা তাদের অনুরোধে কোন সাড়া দেয় নি। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র পরিচালনায় নিজেদের ক্ষমতা ও প্রভাব বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেব ব্রাদারহুড এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মিসরীয় সংবাদমাধ্যমে কোটিপতি ব্যবসায়ী হিসেবে অভিহিত খাইরাত আল শাতের মুসলিম ব্রাদারহুডের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষক।
আল শাতের ব্রাদারহুডে ১৯৭৪ সালে যোগ দেন। ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে একনায়কতান্ত্রিক শাসনামলে তিনি চার দফায় মোট সাত বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন।