নিখাঁদ ব্যাটিং উইকেট। বোলারদের জন্য বলতে গেলে কিছুই নেই। এমনকি ভারতের হোম কন্ডিশন হিসেবেও এখানে স্পিনারদের ধার তোলার মত কোন উইকেট তৈরি করা হয়নি। বরং, চিন্তা করা হয়েছে শুধু ব্যাটসম্যানদের কথাই। সে হিসেবে ব্যাটসম্যানরাই রাজত্ব করে গেলো পুরো চারটি দিন। পঞ্চম দিনও যে একই অবস্থা হবে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। সুতরাং, রাজকোটের টেস্ট ম্যাচটি এগিয়ে যাচ্ছে নিষ্প্রাণ ড্রয়ের দিকেই।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ৫৩৭ রানের জবাব দিতে নেমে ভারতও দারুণ লড়াই করেছে। চেতেশ্বর পুজারা আর মুরালি বিজয়ের সেঞ্চুরি, সঙ্গে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দুর্দান্ত ৭০ রানের ইনিংসে ভারতও করেছে ৪৮৮ রান। যদিও তারা শেষ পর্যন্ত অলআআউট হয়েছে।
প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েও ইংল্যান্ডের লিড মাত্র ৪৯ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের রান কোন উইকেট না হারিয়ে করেছে ৭৫ রান। এ রিপোর্ট লেখার সময় উইকেটে ছিলেন অ্যালিস্টার কুক ৩১ এবং হাসিব হামিদ ৪৩ রানে।
এর আগে চতুর্থ দিন সকালে ভারত ব্যাট করতে নেমেছিল ৪ উইকেটে ৩১৯ রান নিয়ে। বিরাট কোহলি ছিলেন ২৬ রানে ক্রিজে। তবে সকালে ব্যাট করতে নেমে কোহলি আর রাহানে খুব বেশি এগুতে পারেননি। ৪০ রান করে আউট হয়ে যান কোহলি। রাহানে করেন ১৩ রান।
তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর ঋদ্ধিমান সাহা মিলে গড়ে তোলেন ৬৪ রানের জুটি। ৩৫ রান করে ঋদ্ধিমান আউট হয়ে গেলেও এক প্রান্তে অটল থাকেন অশ্বিন। শেষের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ভারতকে ৪৮৮ রানের চূড়ায় নিয়ে যান এই অফ স্পিনার ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফ সেঞ্চুরি করার পর আউট হয়েছেন ১৩৯ বল খেলে ৭০ রানে।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট নেন স্পিনার আদিল রশিদ। ২টি করে উইকেট নেন মঈন আলি এবং জাফর আনসারি। ১টি করে উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড এবং বেন স্টোকস।