কদিন আগেই শেষ হয়েছে ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ। ইংলিশ বধের জন্য এবার স্লো উইকেট বানিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই সিরিজ শেষ হবার চার দিন পরই শুরু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এখনও পর্যন্ত বড় রানের দেখা পায়নি টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এ টুর্নামেন্ট। উইকেট মন্থর থাকায় এমন হচ্ছে বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। তবে ইংল্যান্ড সিরিজের পর এতো অল্প সময়ে উইকেটের আমূল পরিবর্তন সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বরিশাল বুলসের শাহরিয়ার নাফীস।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলন শেষে নাফীস বলেন, ‘উইকেটটা একটু ডাবল ফেস। তবে আমি মনে করি যত সময় যাবে তত তাড়াতাড়ি সমান হবে স্পোর্টি হবে। যেহুতু বিপিএল শুরু হওয়ার কিছুদিন আগেই আমরা টেস্ট ম্যাচ খেলেছি টেস্ট ম্যাচের জন্য স্পেশাল প্ল্যান ছিল। তো ৩-৪ দিনের ব্যবধানে উইকেটের আচরণ আমুল বদলে ফেলা কঠিন।’
এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টার্নিং উইকেট তৈরি করে দারুণ সফল হয় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মত বড় কোন দলের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা। তবে ঢাকায় দ্বিতীয় ফেসে উইকেটের চরিত্র বদল হবে বলে আশা করছেন নাফীস, ‘আমরা কিন্তু অনেক দিন ধরেই ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। টার্নিং, স্লো পিচ যাতে হয়। আস্তে আস্তে যত সময় যাবে উইকেটের আচরণটা বেটার হবে। সেকেন্ড ফেসে যখন ঢাকায় বিপিএল হবে তখন অনেক ভালো উইকেট পাবো আমরা।’
প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী ঢাকা ডাইনামাইটসের কাছে হেরে যায় বরিশাল বুলস। তবে পরের ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে দারুণ জয় পায় তারা। দুই ম্যাচেই টপ অর্ডার ভেঙে পরে তাদের। তবে এ নিয়ে চিন্তিত নন নাফীস, ‘এটা নিয়ে চিন্তিত না। আশা করি যে যার যার দায়িত্ব পালন করবে। মাত্র দুইটা ম্যাচ হয়েছে উপরে যারা আছে, রান করে নাই তাড়াতাড়িই তারা রান পেয়ে যাবে। যে কোনো দলেই ব্যাটসম্যানের ধারাবাহিকভাবে রান করাটা স্বস্তির ব্যাপার। কারণ একদিনে তো সবাই রান করবে না। মিডলঅর্ডার খুব ভালো করছে, টপঅর্ডারও রানে ফিরে যাবে, ইনশাআল্লাহ।’