আগামী সাধারণ নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়া শিগগিরই জাতির সামনে প্রস্তাব হাজির করবেন বলে জানিয়েছে বিএনপি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হবে। কমিশনের সাথে যুক্ত যারা, তাদেরকে নিরপেক্ষ হতে হবে এবং নির্বাচনকালীন সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হবে। তা নাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।
“কীভাবে এটা সম্ভব, কোন প্রক্রিয়া করা যায়- এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আমাদের নেত্রী জাতির সামনে উপস্থাপন করবেন। এটা আমাদের দলের পক্ষ থেকে ২০ দলের নেতৃবৃন্দ সবাই মিলে প্রস্তাবটি দেওয়া হবে।”
অন্যদিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির যে অবস্থান তা কম সময়ের মধ্যে জানতে পারবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের ভোট নিশ্চিত করার জন্য, ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে যেটা নির্বাচনী ফলাফলে প্রতিফলন ঘটবে, একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার, সংসদ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাব বিএনপির পক্ষ থেকে অতিসত্ত্বর দেওয়া হবে।”
আগামী ফেব্রুয়ারিতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদপূর্তির পর নতুন কমিশনের অধীনে ২০১৯ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।
নতুন কমিশন নিয়োগে আগের বারের মতো এবারও ‘সার্চ কমিটি’ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
২০১২ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ‘সার্চ কমিটির’ মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। ওই সময় সার্চ কমিটির আহ্বানে আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দল নতুন কমিশনের জন্য তাদের পছন্দের ব্যক্তির নামের তালিকা দিলেও বিএনপি দেয়নি।
তোপখানার রোডের শিশু কল্যাণ পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ২০ দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, যোগ্য, সৎ, নির্লোভ ও সাহসী, যারা সংবিধান ও প্রচলিত আইন ছাড়া কারও কাছে নতি স্বীকার করবেন না- এমন মানুষদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়া দরকার।
“তাহলেই সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং সঠিক রায় আসার সম্ভাবনা থাকবে।”
সভায় অন্যদের মধ্যে যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্টা, লেবার পার্টির ফারুক রহমান, এমদাদুল হক চৌধুরী, শামসুদ্দিন পারভেজ, মাহমুদ খান ও রামকৃষ্ণ সাহা বক্তব্য রাখেন।
এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে আলোচনা সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নির্বাচন কমিশন বলেন কিংবা নির্বাচন বলেন, যার মূল কথা হচ্ছে, দেশের জনগণের ভোট নিশ্চিত করা। প্রত্যেকটি নাগরিক তার ভোট নির্দ্বিধায় নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দিতে পারবেন, যে ভোটটি যে দেবে, সেটার প্রতিফলন নির্বাচনী ফলাফলে ঘটতে হবে। এর মাধ্যমে দেশে প্রতিনিধিত্বশীল একটা সংসদ হবে ও প্রতিনিধিত্বশীল একটা সরকার হবে।”
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বক্তব্য রাখেন।