ঢাকা: সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের কারণে সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন হানিফ।
হানিফ বলেন, বিএনপি যে মিথ্যাচার করে তার প্রমাণ ৭ নভেম্বরও তারা দিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে তারা সমাবেশের আবেদন করেছিল, ডিএমপি তাদের অনুমতিও দেয়। কিন্তু মিডিয়াতে একটি দেশের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) একজন পছন্দের প্রার্থীর (হিলারি) জয়ের সম্ভাবনা দেখে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করতে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করতে চায়। তাদের সে অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া দাবি করেছেন তারা নাকি কোন অন্যায়-দুর্নীতি করেনি। এটা জাতি জানে, তার আমলে বাংলাদেশ ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আপনি নির্দোশ থাকলে আদালতে হাজিরা দিতে যান না কেন? আর আপনার বড় ছেলেকে দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবেই সবাই জানে। লন্ডনে তারেক একাধিক গাড়ি ব্যবহার করে, কর্মচারীদের নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে। তার আয়ের উৎস কি? আগে যে দুর্নীতি করেছিল সেই টাকা ছাড়া তারেক এমন বিলাসী জীববনযাপন করতে পারতো না।
ডিএমপির অনুমোদনসহ বিএনপির আবেদনপত্রের কপি সাংবাদিকদের দেখিয়ে হানিফ বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই বিএনপি মিথ্যাচার করছে। এখন তারা মিথ্যাচার করছে যে তারা নাকি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আবেদন করেনি।
এদিকে গণমাধ্যমে সম্প্রতি পাঠানো মীর্জা ফখরুল ইসলামের বিবৃতির বিষয়ে হানিফ বলেন, তার এ বিবৃতি মিথ্যাচারে ভরা। এটি তাদের অন্ত:সারশূণ্য রাজনীতিরই নমুনা।
দেশে ভোট দেয়ার অধিকার নেই, খালেদার এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি নির্জলা মিথ্যাচার। আওয়ামী লীগই এদেশে ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করে।
নিরাপত্তার কারণে ভারতের রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেননি বলে খালেদা জিয়া যে অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে হানিফ বলেন, কিছু প্রাণী আছে ৬ মাস পর অনুভূতি বুঝে। গণ্ডার নাকি ৬ মাস পর টের পায়। আর খালেদার বোধোদয় হয়েছে ৩ বছর পর। আসলে ওইদিন জামায়াতের হরতালকে জায়েজ করতেই প্রণব মুখার্জীর হোটেলের সামনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিনি দেখা করতে যাননি।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে তিনি বলেন, কোন গণমাধ্যমেই সরকার কোন সেন্সর আরোপ করেনি কখনো। এটি খালেদার মিথ্যাচার। এখন দেশ যে কোন সময়ের তুলনায় ভাল চলছে। এটাই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ। কারণ তারা জানে যে এটি অব্যাহত থাকলে বিএনপির মত অভিশপ্ত দলের দিকে জনগণ তাকাবে না। তাই তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এদিকে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের এলাকা পরিদর্শনে রাবিবার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টিম যাবে বলে জানিয়েছেন হানিফ। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াবে আওয়ামী লীগ। ক্ষতিগ্রস্তদের পুণর্বাসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।