ডেসটিনির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের এককভাবে কিছু করণীয় নেই। সংশ্লিষ্ট সব নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে একসঙ্গে বসে ডেসটিনির অনিয়ম ও আইন লঙ্ঘনের বিষয়গুলো আরো বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে হবে।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস এম মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক তার নির্ধারিত ক্ষমতাবলে তদন্ত করে দেখছে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ও আইনী সীমা লঙ্ঘন ডেসটিনি কতটুকু করেছে তা এককভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলতে পারবে না। আইন পর্যালোচনা করতে হবে। যারা এর নিয়ন্ত্রক, তাদের বলতে হবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কী আইন লঙ্ঘন করেছে ডেসটিনি।’
এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সাধারণ মানুষ অনেক সময় ধারণা করে, একটি প্রতিষ্ঠান যখন দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে, তা আইনী কাঠামোর মধ্যে থাকে। তাছাড়া লোভেও বিনিয়োগ করে। অনেকেই মনে করে, ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কা নেই। কিছু হলে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে। তাদের বিনিয়োগ রক্ষা করবে। কিন্তু অনেক সময় তা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যায়। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক জনসচেতনতা বাড়াতে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কী সুপারিশ করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংক ডেসটিনির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে অধিক গুরুত্ব দিয়ে রোববার দুটি নির্দেশনা জারি করেছে। তাতে এ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে লেনদেন না করার জন্য জনগণকে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, ডেসটিনির প্রতারণা ধরতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১২টি পরিদর্শন কমিটিকে মাঠে নামানো হয়েছে।
নিরীহ ও সহজ-সরল মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে শিগগিরই মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
একই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ডেসটিনির নানা ধরনের প্রতারণা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে পৃথক কার্যক্রম শুরু করেছে।