ঢাকা: বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৭টা। মিরপুর-১০ নম্বর সেক্টর গোল চত্বরে যানজট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছেন আনসার সদস্য আজমত আলী। কিন্তু শৃঙ্খলা আসছে না সড়কে। নিষেধ থাকলেও আজমত আলীর সহযোগিতায় মূল সড়কে দিব্যি চলছে রিকশা-ভ্যান।
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেখে মনে হয়, ১০ টাকার বিনিময়ে আইন ভাঙাই যেনো তার কাজ!
পাঁচ থেকে দশ টাকা আজমত আলীর হাতে গুঁজে দিলেই বেআইন হয়ে যায় আইন।
পুলিশ সদস্যরাও বিব্রত এই আনসার সদস্যের এমন অসততায়।
‘খুব বেপরোয়া, কারো কথা শোনে না, ডিসি-এসি মানে না, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তার চাঁদাবাজি’!
বাংলানিউজকে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ মোহাম্মদ আরিফ।
তিনি বলেন, পুলিশ বক্সে অনেক নালিশ এসেছে, কোনো লাভ হয়নি। তার কাজ সে ঠিক চালিয়ে যাচ্ছে! ১০ টাকায় রিকশাওয়ালার কাছে বিক্রি হয়ে যায়।
গোল চত্বরের পাশের শপিংমলের ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মার্কেটের ছোটখাটো মালামাল আনা-নেওয়ার সময়ও চাঁদা দিতে হয় আজমতকে।
ক্ষোভের কথা জানালেন রিকশাচালক করিম মিয়া। ‘টাকা দিলে জামাই আদর, না দিলে লাঠির বাড়ি’।
এসব অভিযোগ স্বীকার করে আনসার সদস্য আজমত বাংলানিউজকে বলেন, ‘এইডা আমি একা না সবাই করে। খোঁজ নিয়ে দেখেন’।
এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের পল্লবী জোনের উপ-কমিশনার (এসি) ফাতেমা ইসলাম, এর আগেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ায় মিরপুর-১০ নম্বর সেক্টর গোল চত্বর থেকে দুইজন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজমত আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।