ঢাকা: রাজধানীতে জমি যখন সোনার হরিণ তখন কেবল মানুষের কল্যাণে আড়াই বিঘা জমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে দিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বসুন্ধরা এলাকায় নতুন থানা গঠনের জন্য বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নিজ বাসভবনে আনন্দঘন পরিবেশে পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হকের হাতে জমির দলিল তুলে দেন তিনি।
দলিল হস্তান্তরকালে বসুন্ধরা চেয়ারম্যান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময় সমাজের কল্যাণে নিয়োজিত।আমাদের এই প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে।
তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃংখলা রক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বর্তমানে পুলিশ সর্বকালের সেরা সময় পার করছে। মানুষের নিরাপত্তা বিধানে জীবন বাজি রেখে কাজ করছে। তার প্রমাণ আমরা পেলাম গুলশানের হামলার সময়। সেখানে মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ অকাতরে জীবন দিতেও দ্বিধাবোধ করেনি।
আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, বসুন্ধরা থানার জন্য জায়গা দিতে পেরে আমি নিজে আনন্দিত। ভবিষ্যতে আরো একটি থানার জন্য জায়গা দেবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা বাংলাদেশ পুলিশের’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য বা কাজ করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বড় ভূমিকা রাখে। তাছাড়া মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে নিরাপত্তা বিষয়টিও জরুরি।
বসুন্ধরার এই উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক বলেন, বসুন্ধরা একটি মডেল টাউন। সুন্দর গোছানো এই আবাসিক এলাকায় অনেক মানুষ বসবাস করছেন। এখানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। তাই আমরা মনে করেছি, এ এলাকার মানুষের জন্য একটি থানা প্রয়োজন। আমরা যখন বসুন্ধরা চেয়ারম্যানকে থানা করার বিষয়ে সহায়তার কথা বললাম, তখন তিনি বিনাবাক্য ব্যয়ে আমাদের জমি দিতে মনস্থির করলেন। এ জন্য আমরা তার কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। এমন কাজে ভবিষ্যতেও আমরা বসুন্ধরা গ্রুপকে পাশে পাবো বলে আশা করছি।
দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন ডিএমপির পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় দিন দিন লোকসংখ্যা বাড়ছে। আমরা চেয়েছি এ এলাকার মানুষের নিরাপত্তা দিতে। নিরাপদ সিটি হবে বসুন্ধরা। তাই আমরা বসুন্ধরা থানার জন্য একটি জায়গা চেয়েছিলাম। বসুন্ধরা আমাদের আড়াই বিঘা জমিও দিয়েছে।
এ সময় ডিএমপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।