টুঙ্গীপাড়া, গোপালগঞ্জ, ৮ নভেম্বর ২০১৬ : দেশকে অস্থীতিশীল করার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তাবিধানে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ শান্তি ও নিরপত্তা চায় এবং আমরা সেই শান্তি ও নিরপত্তাবিধানে অঙ্গীকারাবদ্ধ… আমরা এজন্য প্রয়োজনে যেকোন ধরনের পদক্ষেপ নেব।’
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিকেলে টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ এবং কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটির যৌথসভার উদ্বোধনী বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর ২০তম জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবার পর এটাই ছিল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলী এবং কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম সভা।
এর আগে সকালে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া পৌঁছেন।
দেশবিরোধী চক্র বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি, তাদের দোসর এবং এদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারিরা এক জোট হয়ে দেশকে অস্থীতিশলি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন দেশের মানুষ জন শান্তিতে আছে, একটু সুখের মুখ দেখতে আরম্ভ করেছে, বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ আসতে আরম্ভ করেছে ঠিক তখনই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চাইছে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশের জনগণকে একযোগে এই সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করারও আহবান জানান।
তিনি বলেন, এ সম্পর্কে জনমনে যথেষ্ট সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে এবং কেউই এখন সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নামের অশুভ শক্তির উত্থান দেখতে চায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ শান্তি চায় এবং আমরা অবশ্যই সেটা তাদেরকে দেব। এ প্রসঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগসহ স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবার আহবান জানান।
প্রশাসন এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী জঙ্গিবাদের শেকড় খুঁজে বের করায় যথেষ্ট সক্রিয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যদি সরকার ও জনগণ একযোগে প্রচেষ্টা চালায় তাহলে আমরা অবশ্যই এই মাটি থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ চিরতরে উচ্ছদ করতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলায় তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার পূনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি বিশ্বাসকরি আমরা যেসব অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলো হাতে নিয়েছি তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব।