প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজে আরো গতি চায় সংসদীয় কমিটি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজে আরো গতি চায় সংসদীয় কমিটি

18দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো উন্নত ও জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করতে এবং সংসদীয় কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজে আরো গতি চায় সংসদীয় কমিটি। কারণ দশম জাতীয় সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১০৫টি সুপারিশের মধ্যে ৭৪টি সুপারিশ এখনো বাস্তয়ন হয়নি। এ পর্যন্ত মাত্র ২৭টি সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং ৪টি আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে।

জাতীয় সংসদ ভবনে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কমিটির ৩১তম বৈঠক শেষে সংসদের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন।

সাবেক এই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় আরো গতিশীল হলে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হত। আগামীতে যাতে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করব।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় নিয়ে সবাই কথা বলতে চায়, কিন্তু কেউ শুনতে চায় না।

সভাপতি বলেন, কমিটি প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আলাদা বোর্ড করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার বই ছাপানোর জন্য আলাদা প্রেস করারও সুপারিশ করেছে।

তিনি বলেন, ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা হওয়ার কথা কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। আর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা বিনামূল্যে হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো এর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

আসন্ন বছরের বিনামূল্যের বই ছাপানো সম্পর্কে সভাপতি বলেন, এবার ভারতে মাত্র ১২ শতাংশ বই ছাপানো হচ্ছে। আন্তর্জতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারতের ২টি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। আর বাংলাদেশের ২৭টি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। এবার প্রায় ৩৪ কোটি বই ছাপানো হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বই ছাপানোর কাজ শেষ হবে। আর ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলায় বই পাঠানো হবে। এবারই প্রথমবারের মত বইয়ে প্রধানমন্ত্রীর বই বিতরণের ছবি থাকবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। কিন্তু এর কোনো লক্ষণ দেখছি না। এই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন হলে পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা, এসএসসি ও ডিগ্রি পরীক্ষা থাকবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য আবুল কালাম ও আলী আজম।

বাংলাদেশ