ঢাকার বিভক্ত দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ৪ এপ্রিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ দিনই ডিসিসি উত্তর এবং ডিসিসি দক্ষিণের নির্বাচনের তফসিল ও নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক উপলক্ষে ইসি সচিবালয় রোববারই চিঠির ড্রাফট তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। সোমবার চিঠিগুলো পাঠানো হবে।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আইন সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচনে সেনা সদস্য ব্যবহারের বিষয়টি বাদ দেওয়ায় এবারের বৈঠকে সেনা সদর দফতরকে আমন্ত্রন জানানো হচ্ছে না।
ইসির সঙ্গে এ বৈঠকে অংশ নেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের আইজিপি, র্যাবের মহা পরিচালক, আনসারের মহা পরিচালক, বর্ডার গার্ডের মহা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দফতর ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘৪ এপ্রিলের আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি সচিবালয়।’
তিনি বলেন, ‘২০ মে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ২১ ও ২২ মে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে ২৩ অথবা ২৪ মে দুই ডিসিসির নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান কমিশন একটু রিলাক্স মুডে নির্বাচন করতে চায়। তাই ২৯ মের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় একটু আগেই নির্বাচন করবে ইসি।’
এদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৪ এপ্রিলের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পরই ইসি তফসিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সে ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহেও তফসিল হতে পারে বলে তিনি জানান।’
ইসির আর একটি সূত্র জানায়, বর্তমান ইসির এপ্রিলের মাঝামাঝি তফসিল ঘোষণার কথা থাকলেও ১৫ এপ্রিলের আগেই ডিসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
সাধারণত নির্বাচনের ৪৫ দিন আগে তফসিল ঘোষণা হয়ে থাকে। তবে ইসির স্থানীয় নির্বাচন বিষয়ক দায়িত্ব পাওয়া সিনিয়র সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আইনে এমন কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই।’
কমিশন চাইলে যে কোনো সময়ই তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানান তিনি।