বাস চাপায় শ্রমিক মৃত্যুর গুজবে সোমবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয় বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা।
সকাল ৮টা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মৌচাক তেলীরচালা এলাকায় সড়ক অবরোধের সময় শ্রমিকরা বেশকিছু যানবাহন ও কারখানা ভাঙচুর এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, সকাল পৌনে ৮টার দিকে মৌচাক তেলীরচালা এলাকার সেজাদ ডিজাইন ওয়ার লি: কারখানার অপারেটর জহিরুল ইসলাম (২৫) কারখানার সামনে ওই মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী উত্তরবঙ্গের পিংকি পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-২৮০২) তাকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।
কিন্তু দুর্ঘটনার পর তার মৃত্যুর গুজব এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সকাল ৮টার দিকে সেজাদ ডিজাইন কারখানার প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক ও আশপাশের পাঁচ/ছয়টি কারখানার শ্রমিক মিলে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা ১০/১২টি পোশাক কারখানা ও গাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং একটি ম্যাক্সি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় শতাধিক শ্রমিক ও পথচারী আহত হয়েছে।
এদিকে, আহত জহিরুলকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে শ্রমিকরা ইট-পাটকেল ছুড়ে তাদের ওপরও হামলা চালায়। এ সময় শ্রমিকদের আঘাতে পুলিশ, শ্রমিক ও পথচারীসহ প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়।
পরে অতিরিক্ত আরও প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শ্রমিকরা রাস্তা ছেড়ে সরে যায়। শ্রমিকরা সরে গেলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, সাড়ে তিন ঘণ্টা সড়ক বন্ধ থাকায় গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এখন ধীরে ধীরে যানজট কমতে শুরু করেছে।