ডেসটিনি নিয়ে সতর্ক সরকার, আতঙ্কে গ্রাহক

ডেসটিনি নিয়ে সতর্ক সরকার, আতঙ্কে গ্রাহক

হায় হায় প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির বিরুদ্ধে অবৈধ ব্যাংকিংসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। ডেসটিনির লাখ লাখ গ্রাহকের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। উদ্বিগ্ন গ্রাহকদের অনেকেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ডেসটিনি কর্মীদের চাপ দিচ্ছেন। গ্রাহকদের আশঙ্কা, উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে এর আগে মাল্টিলেভেল কোম্পানি বিসিআই, আইটিসিএল, জিজিএন, যুব কর্মসংস্থান সোসাইটি (যুবক) এবং সম্প্রতি ইউনিপে টু ইউ যেভাবে লাখ লাখ মানুষকে নিঃস্ব করেছে এবার তাদেরও সেই একই পরিণতি হতে যাচ্ছে।

কথিত মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) পদ্ধতিতে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির বেআইনি কার্যক্রম বন্ধে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ডেসটিনির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে রোববার দুটি নির্দেশনা জারি করেছে। তাতে এ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে লেনদেন না করার জন্য জনগণকে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, ডেসটিনির প্রতারণা ধরতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১২টি পরিদর্শন কমিটিকে মাঠে নামানো হয়েছে।

নিরীহ ও সহজ-সরল মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে শিগগিরই মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

একই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ডেসটিনির নানা ধরনের প্রতারণা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে পৃথক কার্যক্রম শুরু করেছে।

রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেছেন, তদন্তে ডেসটিনির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যুবকের মতো তাদেরও একই অবস্থা হবে।

তিনি বলেছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক ডেসটিনির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক বললেই ডেসটিনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানও সংশ্লিষ্টদের ডেসটিনির ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে ডেসটিনির প্রতারণা কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সমবায় অধিদফতরের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করবে সরকার। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন রিপোর্ট পাওয়ার পর সরকার এ নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অচিরেই তদন্ত কমিটির ব্যাপারে সরকারি আদেশ জারি হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ডেসটিনির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ ব্যাংকে গঠিত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ওই ইউনিট দু-একদিনের মধ্যে এ ব্যাপারে কাজ শুরু করবে।

ডেসটিনির বিরুদ্ধে অবৈধ ব্যাংকিংয়ের তথ্য পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে পরিদর্শন রিপোর্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাছে জমা দিয়েছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। তবে অবৈধ ব্যাংকিং বিষয়ে সাধারণ জনগণকে সতর্ক করতে ব্যাপক প্রচার চালাবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন ও ভিজিলেন্স বিভাগের এক পরিদর্শনে ডেসটিনি অবৈধ ব্যাংকিং করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। ব্যাংকের মতো এ প্রতিষ্ঠানটিও আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণ করছে। তবে সেই আমানত ও ঋণ নিয়ম নীতির বালাই নেই। সমবায় আইনে সমবায় সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় গ্রহণ ও তাদের মধ্যে ঋণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। এটিকে কাজে লাগিয়ে তারা নানা কৌশলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো ব্যবসা করছে। আমানতের ক্ষেত্রে তাদের সুদের হার ব্যাংকের চাইতেও বেশি। এতে জনগণের অনেক আমানত ব্যাংকে না এসে ওইসব প্রতিষ্ঠানে চলে যাচ্ছে। এতে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে।

অন্যদিকে জনগণের কষ্টার্জিত সঞ্চয় প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগে যুব কর্মসংস্থান সোসাইটি বা যুবকের বিষয়ে অবৈধ ব্যাংকিংয়ের প্রমাণ পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুবকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। যুবকের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে। আবার অবৈধ ব্যাংকিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০১ সালের সমবায় সমিতি আইনের অজুহাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো আমানত সংগ্রহ করছে ডেসটিনি। ২০১১ সাল পর্যন্ত সংগ্রহ করেছে দুই হাজার কোটি টাকা। সমিতির শেয়ারহোল্ডারদের দায়-দায়িত্ব তাদের পরিশোধিত মূলধনের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ নয়। তবে কখনো যদি অবসান ঘটাতে হয়, তখন পরিসম্পদে ঘাটতি থাকলে সদস্যরা নিজ নিজ শেয়ার অনুপাতে দায়ী থাকবেন। প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ শেয়ারহোল্ডার এ সম্পর্কে অবগত নন। ডেসটিনি শেয়ার মূলধন ও শেয়ারহোল্ডারের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়িয়ে অত্যন্ত সুচতুরভাবে এর দায়দেনার সঙ্গে লাখ লাখ মানুষকে সম্পৃক্ত করছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তদন্তে পাওয়া তথ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ডেসটিনির সদস্য হলেই `ডিস্ট্রিবিউটরস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার` (ডিআইএন) ও `কাস্টমারস আইডেন্টিফিকেশন` (সিআইডি) দেওয়া হয়। বর্তমানে সিআইডি নাম্বারধারীর সংখ্যা ৬৮ থেকে ৭০ লাখ এবং ডিআইএন নাম্বারধারী ৪০ থেকে ৪৫ লাখ। ডিআইএন নাম্বারধারীরাই ডেসটিনি মাল্টিপারপাসের সদস্য।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- ৪০টি শেয়ারের একটি লট ২০ হাজার টাকা করে বিক্রি করছে এই ডিআইএনরা। শেয়ার বিক্রি করতে পারলে ৫০০ পয়েন্ট ভ্যালু (পিভি) অর্জন করা যায়। আশ্চর্যজনক যে, পরিবেশক করা হয় ডেসটিনি গ্রুপের মূল প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের। আবার এই পরিবেশক হওয়াই ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্য হওয়ার পূর্বশর্ত। আবার এক লাখ টাকার মেয়াদি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেও কোনো ব্যক্তি সদস্য হতে পারেন। পাঁচ বছর আগেও প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা ছিল বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বর্তমানে তা ৩ হাজার কোটি টাকা, যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- প্রচারিত লিফলেট অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি চলতি আমানত, সঞ্চয়ী আমানত, স্থায়ী আমানত, সাড়ে পাঁচ বছরে দ্বিগুণ আমানত প্রকল্প, মাসিক মুনাফাভিত্তিক আমানত প্রকল্প, শেয়ার মূলধন (যা সঞ্চয় আমানতেরই নামান্তর মাত্র) ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির বেশিরভাগ আমানত প্রকল্প তফসিলি ব্যাংকগুলোর আমানত প্রকল্পের প্রায় অনুরূপ।

প্রতিষ্ঠানটি এভাবে ব্যাংকের মতো চলতি, স্থায়ী, সাড়ে পাঁচ বছরে দ্বিগুণ, মাসিক মুনাফা, শেয়ার মূলধন ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করছে। এর জন্য প্রশিক্ষিত মাঠকর্মী তথা কমিশন এজেন্টদের ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শহরের আনাচে-কানাচে এবং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও। ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার সংগ্রহও আমানতেরই নামান্তর। ২০০৬-০৭ সালে ৭১ লাখ, ২০০৭-০৮ সালে ৭ কোটি ২ লাখ, ২০০৮-০৯ সালে ১৭ কোটি ৫৬ লাখ, ২০০৯-১০ সালে ২২২ কোটি ১৮ লাখ এবং ২০১০-১১ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৫২২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ৪৯২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা অর্থাৎ ৯৪ শতাংশ আমানতই দীর্ঘমেয়াদি আমানত। আমানতের বিপরীতে সুদ দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ১৬ শতাংশ।

সমবায় আইন অনুযায়ী আয়ের টাকা যেহেতু করমুক্ত, তাই সুদের এত উচ্চহার অস্বাভাবিক বলেও মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে। আমানত পরিশোধের দায়বদ্ধতা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি অতিরিক্ত শেয়ার ক্রয়ে জনগণকে প্রলুব্ধ করে তহবিল বাড়াচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- কোনো চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীক্ষার বাধ্যবাধকতা না থাকায় যে কোনো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের মতো ডেসটিনিরও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা করেছে সমবায় অধিদপ্তর। এতেও অনেক ত্রুটি ধরা পড়েছে।

২০০৯-১০ অর্থবছরের শাখাওয়ারি সঞ্চয় সংগ্রহ, শেয়ার মূলধন, আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাবই নেই। ওই বছর অনুমোদনবিহীন ব্যয় হয়েছে ২১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সঞ্চয় ও শেয়ার মূলধন আহরণে কমিশন বাবদ ব্যয় হওয়া ২০০ কোটি টাকাকে গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যয় দেখানো হয়েছে, যা হিসাবশাস্ত্রের রীতিনীতির পরিপন্থী। স্থিতিপত্রে প্রাপ্তি ও প্রদানে কোনো মিল নেই এবং প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত চিত্র এতে প্রতিফলিত হয় না। প্রতিষ্ঠানটি জনগণের কাছ থেকে যে পরিমাণ সঞ্চয় ও শেয়ার মূলধন সংগ্রহ করেছে বলে নিরীক্ষা দলকে জানিয়েছে, তাও সঠিক নয়; বরং প্রকৃত সংগ্রহের পরিমাণ অনেক বেশি।

তদন্ত টিমের তথ্য অনুযায়ী- ২০০৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ডেসটিনির মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ২৩ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে এ সম্পদ ২০১০ সালের ৩০ জুন বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৫৭০ কোটি ৬১ লাখ ১৬ হাজার ৬৫২ টাকা এবং ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর এটি আরো বেড়ে হয় তিন হাজার ১৮২ কোটি ৭১ লাখ ২২ হাজার ৮৩৬ টাকা। তিন বছরের ব্যবধানে মোট সম্পদ বেড়েছে তিন হাজার ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯৩ টাকা। সম্পদ বৃদ্ধির এ হার হচ্ছে ১৩ হাজার ১৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ! একইভাবে আমানতের স্থিতি ৫ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার টাকা থেকে তিন বছরে বেড়ে হয়েছে ৬৫১ কোটি ৯৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৪৯ টাকা। তিন বছরে আমানত বেড়েছে ৬৩৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। বৃদ্ধির হার সাড়ে ৩ হাজার শতাংশ! শুধু তাই নয়, কোম্পানিটির শেয়ার মূলধনও তিন বছরের ব্যবধানে ৫ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৩৫৫ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে এ বৃদ্ধির হারকে `অস্বাভাবিক` হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- প্রতিষ্ঠানটি এখন মুনাফা অর্জন করছে মনে হলেও গবেষণা ও উন্নয়নখাতের কমিশন সমন্বয় করলে এর নিট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে সমবায় সমিতির বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিতে তারল্য ঘাটতি (নগদ মুদ্রার ঘাটতি) রয়েছে। এ তারল্য সঙ্কটের কারণে যে কোনো সময় গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা ফেরত নাও পেতে পারেন। আমানতকারীদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে আস্থাহীনতার মনোভাব।

অন্যদিকে, শেয়ার মূলধন ও সঞ্চয় আমানতের একটি অংশ কমিশন হিসেবে দেওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানের সংগৃহীত মূলধন কমে যাওয়ায় সদস্যদের শেয়ারে বিনিয়োগকৃত অর্থ প্রতারিত হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে- ডেসটিনি এমএলএমের নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে মূলত আইনি দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে। রেজসকো থেকে নিবন্ধন নিয়ে এখতিয়ারের বাইরে কাজ করছে। কিন্তু এ জন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয়নি। রেজসকো থেকে নিবন্ধন নিয়ে ডেসটিনি অবৈধ ব্যাংকিং ব্যবসা শুরু করলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি এ ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করে কোনো প্রচারও চালানো হয়নি।

বাংলাদেশ