সেমি স্টেডিয়ামের রূপ পাচ্ছে মুহসীন হলের খেলার মাঠ

সেমি স্টেডিয়ামের রূপ পাচ্ছে মুহসীন হলের খেলার মাঠ

11মাঠের একপাশে ময়লা, কিছুদূর পর পর গর্ত, বড় বড় ঘাস, খেলতে গেলে বিড়ম্বনার শেষ নেই। বহিরাগতদের দাপটে নিজ গৃহে পরবাসী হলের শিক্ষার্থীরা। এই হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল খেলার মাঠের দৃশ্য।

অবশেষে এমন দুভোর্গের দিন শেষ হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা মাঠটিকে এবার সেমি স্টেডিয়ামে রূপ দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে হল প্রশাসন। ইতোমধ্যে স্টেডিয়ামটি কেমন হবে তার একটি নকশাও তৈরি করা হয়েছে। নকশা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছেও হস্তান্তর করা হয়েছে।

আগামী ১০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক বৈঠকে স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জাতীয় মানের এ ফুটবল স্টেডিয়ামটির একটি নকশা ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম নির্মাণের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ‘সৃজনী’ কোম্পানি এ নকশা তৈরি করে।

নকশায় দেখা যায়- স্টেডিয়ামটির দৈর্ঘ্য হবে ৪৮০ ফুট, প্রস্থ ৩২০ ফুট। থাকছে দুটি দর্শক গ্যালারি। পশ্চিম পাশের সর্ববৃহৎ গ্যালারিটি সাধারণ দর্শকের জন্য। উত্তর পাশের গ্যালারিটি ভিআইপি গ্যালারি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ গ্যালারিতেই থাকছে খেলোয়ারদের জন্য প্যাভিলিয়ন, জিমনেসিয়াম, লাউঞ্জ, মেডিকেল রুম, মিটিং রুম।

এছাড়া স্টেডিয়ামটির উত্তর-পশ্চিম কর্নারে থাকছে একটি টেনিস কোর্ট। উত্তর-পূর্ব কোণে ব্যাডমিন্টন ও ভলিবলের জন্য দুটি পৃথক কোর্ট থাকবে। রাতে খেলার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে নির্মিতব্য এ স্টেডিয়ামে। চার কর্নারে চারটি ফ্লাড লাইট বসানো হবে। প্রতিটি ফ্লাড লাইটে ৪২টি করে হাই ভোল্টেজ বাল্ব বসানো হবে।

নিরাপত্তার জন্য পুরো স্টেডিয়াম দেয়াল দ্বারা আবদ্ধ থাকবে। মূল দেয়ালের সঙ্গে ১৫ ফুট চওড়া একটি রাস্তা থাকছে চারপাশে। আগত দর্শকদের নির্ধারিত গেট দিয়েই প্রবেশ করতে হবে। স্টেডিয়ামটি এমনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে এটি একটি জাতীয়মানের স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি জাতীয় বিভিন্ন লীগের খেলাও অনুমতিক্রমে হবে এখানে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। মুহসীন হল প্রশাসন স্টেডিয়ামটি নিয়ন্ত্রণ করবে। স্টেডিয়ামটি তৈরির জন্য ৪৫ কোটি টাকার প্রাথমিক বাজেট নির্ধারণ করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমতি পেলে প্রস্তাবনাটি  বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠানো হবে। এখানে অনুমোদিত হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যাবে বরাদ্দ পেতে।  পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়  সবুজ সংকেত দিলেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

হাজী মুহাম্মদ মহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, আমাদের হলের মাঠটি দীর্ঘ ১৫ বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তাই হল প্রশাসন কিছু দিন আগে মাঠটি পুনরায় কার্যকর করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

খেলাধূলা