উপমহাদেশের কালজয়ী চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের নামানুসারে গেল কয়েক বছর ধরে এ পদক দিয়ে আসছে রাজশাহীর ‘ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি’।
রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মিলনায়তনে শুক্রবার রাতে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এ সম্মাননা পদক তুলে দেয়া হয়।
বর্তমানে এই কলেজটিই ঋত্বিক কুমার ঘটকের পৈত্রিক নিবাস।
তার ৯১তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজশাহীতে আয়োজন করা হয়েছে পাঁচ দিনের চলচ্চিত্র উৎসব।
এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই শুক্রবার পাঁচ চলচ্চিত্রকার ও গবেষককে সম্মাননা পদক দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
চলচ্চিত্র নির্মাণে অনন্য অবদান রাখায় এবার এ পদক পেলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম ও ভারতের বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত।
চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে অনন্য অবদান রাখায় পদক দেয়া হল ভারতের ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রেমেন্দ্র মজুমদারকে।
মঞ্চ নাটক ও চলচ্চিত্রে আলোকসম্পাতে অনন্য অবদান রাখায় এ পদক পেলেন রাজশাহীর আলোকশিল্পী আবু তাহের। আর চলচ্চিত্র নিয়ে গবেষণায় অসমান্য অবদান রাখায় এ পদক জিতলেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র ও নজরুল গবেষক অনুপম হায়াৎ।
অনুপম হায়াৎ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় তার পক্ষে পদক গ্রহণ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি ড. সাজ্জাদ বকুল। বাকিরা সবাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পদক গ্রহণ করেন।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন প্রামানিক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফএমএ জাহিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন, উৎসব পরিচালক আহসান কবীর লিটন। এরআগে ঋত্বিক ঘটক স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
ঋত্বিক ঘটক ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস এখনকার রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক কলেজ। ঋত্বিক ঘটক চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ শেষ করেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে।
১৯৪৬ সালে আইএ পরীক্ষা দেন রাজশাহী কলেজ থেকে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর পরই পরিবারের সঙ্গে চলে যান ভারতে।
এদিকে শনিবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর পদ্মাপাড়ে লালন মঞ্চ ও বড়কুঠি মঞ্চে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকায় নির্মিত ৩০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে এবারের উৎসবে।