ঢাকা: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষ করে এদেশের কমিউনিটি ভিত্তিক ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে দুর্যোগ ঝুঁকি কমানো বিষয়ক এশীয় দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার একটি বৃহৎ কমিউনিটি ভিত্তিক ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি চালু করেছে। যা ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এটি এখন সেরা অনুশীলন হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হয়েছে।
তিনদিনব্যাপী আয়োজিত এ সম্মেলনে ৬০টিরও বেশি দেশের মন্ত্রী, কর্মকর্তা এবং পরিবশেবাদীরা অংশ নেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন মায়ার (বীর বিক্রম) নেতৃত্বে এ সম্মেলেনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ পূর্বাভাস সিস্টেম রয়েছে এবং দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে একটি মডেল উদাহরণ স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, প্রস্তুতির প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণ এবং ত্রাণ মজুদের মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তে আমরা দ্রুততম সময়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হই।
দুর্যোগমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ তিন হাজার আটশ’ ৫১টি ঘূর্ণিঝড় এবং ১৪২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি প্রোগ্রামের আওতায় প্রায় ৫৫ হাজার প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী এবং শহুরে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য ৩২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।
‘দুর্যোগ আর কোনো মৃত্যু নয়’- প্রাণবন্ত জাতি গঠনের লক্ষ্য অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ১৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে পরিবেশবান্ধব সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।