মিরপুর থেকে: বিপিএল মানেই চার ছক্কার ফুলঝুরি, বিপিএল মানেই গ্যালারিতে বিরামহীন উল্লাস, বিপিএল মানেই আফ্রিদি-গেইল ঝড়ে বুদ ক্রিকেট সমর্থকরা। ব্যাটিংয়ের এমন ধুন্দুমার নির্ঝাস নিয়েই মাঠে গড়াচ্ছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জাকজমকপূর্ণ টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ আসর।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) উদ্বোধনী ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে রাজশাহী কিংস। একই ভেন্যুতে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় খুলনা টাইটান্সকে মোকাবেলা করবে রংপুর রাইডার্স।
উদ্বোধনী দিনের দুটি ম্যাচের মধ্যে প্রথম ম্যাচটিতেই থাকছে ভীষণ আকর্ষণ, থাকছে টান টান উত্তেজনাও। কেননা প্রথম ম্যাচটি যে দু’দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে তার এক দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার থলিতে আগের তিন বিপিএলের শিরোপা। রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির দখলে দু’টি টি-২০ বিশ্বকাপ শিরোপা। কাজেই ম্যাচটিতে সমর্থকেদের উত্তেজনার পারদ যে তুঙ্গে থাকবে সে কথা বলার আর অপেক্ষা থাকছে কই!
কেন তুঙ্গে থাকবে? কুমিল্লার হয়ে ব্যাট হাতে বিস্ফোরক ইনিংস খেলতে দলে আছেন ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, থিসারা পেরেরা ও জ্যাসন হোল্ডারের মতো ব্যাটসম্যানরা। সাথে অধিনায়ক মাশরাফি তো আছেনই।
তবে ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক মাশরাফি দলের মূল শক্তি দেখছেন তরুণদের মাঝেই, ‘আমাদের বেশ কিছু এক্সাইটিং ইয়াং প্লেয়ার আছে। যারা অনূর্ধ্ব-১৯ এ খেলেছে এবং ভালো খেলছে। তবে লোকাল প্লেয়ারদের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে যে তারা কেমন খেলে। আমাদের যারা খেলোয়াড় আছে তারা যদি তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারে তাহলে ভালো কিছু হবে।’
আর ইমরুলদের ব্যাটের সমীচীন জবাব দিতে রাজশাহীতে আছেন ‘হার্ডহিটার’ সাব্বির রহমান, প্রিন্স অব কক্সবাজার মুমিনুল হক, রনি তালুকদার, নুরুল হাসান সোহান ও উপুল থারাঙ্গার মতো প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানরা। আর দলের নেতৃত্বে থাকছেন স্যামির মতো তারকা অলরাউন্ডার।
তবে স্যামি চাইছেন পরিকল্পনা মাফিক খেলে ম্যাচের মোমেন্টামকে কাজে লাগিয়ে শুরুটা দারুণ করতে, ‘যদি আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি তাহলে জয় কঠিন হবে না। আর টি-টোয়েন্টিতে একজনই ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে। বিষয়টি শুধুই মোমেন্টামের। আর আমরা যদি সেই মোমেন্টামকে ধরে রাখতে পারি তাহলে টুর্নামেন্টে আমরা ভালো কিছু করতে পারবো।’
অন্যদিকে, দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শুভাগত হোম ও শফিউল ইসলামদের সামনে প্রতিপক্ষ হিসেবে রংপুর রাইডার্সকে আপাত দৃষ্ঠিতে একটু বেশিই হেভিওয়টে বলে মনে হচ্ছে। শহিদ আফ্রিদি, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন নাইম ইসলাম, শারজিল খানের মতো ব্যাটসম্যানরা দাঁড়িয়ে গেলে তাদের রানের চাকা সামাল দেয়াটা খুলনা টাইটান্সের জন্য কঠিনই হয়ে দাঁড়াবে!
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) মিরপুর ক্রিকেট একাডেমিতে গণমাধ্যমের সামনেও ঠিক এমনই কিছুর আভাস দিয়েছেন সৌম্য সরকার, ‘দল যেটা আছে তা নিয়েই তাদের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে হবে। আর জেতার জন্যই খেলবো। আমি চেষ্টা করবো আমার সেরাটা দেওয়ার জন্য।’