মিয়ানমারে বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। এই নির্বাচনে জয়ী হলে পার্লামেন্টে বসবেন দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি।
পার্লামেন্টের মোট ৪৫টি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার একটিতে প্রার্থী হয়েছেন সু চি। তিনি ইয়াঙ্গুনের বাইরে কাওমু আসনে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তবে তার দল মোট ৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
অবশ্য ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে দলটি।
এই নির্বাচনকে মিয়ানমারের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে দেশবিদেশের গণমাধ্যমে।
মিয়ানমারের স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এতে মোট ১৭টি দল অংশ নিচ্ছে।
এই প্রথম বিদেশি সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ভোট পর্যবেক্ষণের সুযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার।
ভোটগ্রহণের শুরুর দিকেই হাজার হাজার ভোটারকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনে সামরিক বাহিনী সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) অধিকাংশ আসনে বিজয়ী হয়।
২০১০ সালের নভেম্বরে মুক্তি পান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা সু চি। তিনি ১৫ বছর গৃহবন্দি ছিলেন। সু চির বাবা অং সান ছিলেন মিয়ানমারের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা।
ওই সময় আন্তর্জাতিক চাপে সু চির সঙ্গে বন্দি অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতাকেও মুক্তি দেওয়া হয়।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন বেসামরিক সরকার পার্লামেন্টের শূন্য আসনগুলোতে উপনির্বাচন ঘোষণা করলে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় সু চির দল এনএলডি।
এ সুযোগে গত ৫০ বছরে তৃতীয় নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করছে দেশটির জনগণ।
এদিকে শান্তিপূর্ণভাবে নিরপেক্ষ ভোট হলে মিয়ানমারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।