ঢাকা, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬ : প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন হিসাবে সোনার বাংলা গড়ে তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই স্বপ্নের অর্থ হলো, আমরা অন্য কোন দেশ অথবা জাতির ওপর নির্ভরশীল হব না, নিজেদের মেধা ও পরিশ্রম দিয়েই আমরা আমাদের উন্নতি করব।
জয় আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আইটি কাম প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউটের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এটুআই প্রকল্পের পরিচালক কবীর বিন আনোয়ার।
তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ে তোলা। এই স্বপ্নের অর্থ হলো প্রতিটি মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়বে। অন্যের ওপর নির্ভরশীল হবে না। আওয়ামী লীগ সরকার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে এ ধরনের প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউট গড়ে তোল হচ্ছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
জয় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে পাবর্ত্য চট্টগ্রামের বাইরে দেশের অন্যান্য এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে যে সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে, তারই আওতায় রায়গঞ্জে এ প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউট গড়ে তোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউট উদ্বোধন করতে পেরে আমি গর্বিত। তিনি আরো বলেন, আমরা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। এ ধরনের প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ নিয়ে মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। তাদের আয় বাড়বে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আসবে।
রায়গঞ্জের এ প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউটে বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের কারিকুলাম অনুযায়ী তথ্য প্রযুক্তির ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ছাড়াও বিজিএমইএ এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের এসইআইপি কর্মসূচির সহায়তায় সেলাই প্রশিক্ষণ, আইএলও’র সহায়তায় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের মালিক ও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ এবং তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন একটি প্রকল্পের অধীনে ১৬০ ঘন্টা কম্পিউটার ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।