রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন,পর্যটনের মাধ্যমে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতির মেলবন্ধন রচিত এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বিকশিত হয়।
তিনি বলেন,সর্বসাধারণের নিকট স্বল্পমূল্যে পর্যটন সেবা পৌঁছে দিতে অবকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিতের পাশাপাশি ভ্রমণ ও আবাসনসহ অন্যান্য ব্যয় হ্রাসের ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
‘বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ঘোষিত ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০১৬’ বাংলাদেশে আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সকলের জন্য পর্যটন:সার্বজনীন পর্যটনের অভিগম্যতা’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে ‘আমি মনে করি’।
তিনি বলেন, এবারের প্রতিপাদ্যে পর্যটন কর্মকা-ে নারী, পুরুষ, বয়স্ক, যুবা, শিশু, সচ্ছল, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী সকল শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
আবদুল হামিদ বলেন, ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ একে অপরকে জানতে চেষ্টা করে। পৃথিবীর রং, রূপ,সৌন্দর্য উপভোগ করে।
পর্যটন শিল্পের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের অফুরন্ত পর্যটন আকর্ষণসমূহকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিকট তুলে ধরার প্রয়াসে সরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সচ্ছল, অসচ্ছল, বয়স্ক, শিশু ও প্রতিবন্ধী সকলের ভ্রমণ সহজসাধ্য করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন,তরুণ ও যুবাদের জন্য স্বল্প খরচে বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চারধর্মী সেবা ও নিরাপদ ভ্রমণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, সকলের জন্য পর্যটন বাস্তাবায়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে পর্যটন শিল্পে সকলের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হবে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি এই কর্মকা-ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে পর্যটন পিয়াসু সকলকে আহ্বান জানান এবং ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০১৬’র সফলতা কামনা করেন।