ঈদের আর মাত্র ৪ দিন। ইতোমধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। এবার হাটগুলোতে দেশী গরুর সংখ্যা বেশি।
ঈদের তিন দিন আগ থেকে এসব হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনার অনুমোদন দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। সেই হিসেবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন পশুর হাটগুলোর আনুষ্ঠানিক বেচাকেনা শুরু হবে আগামীকাল শনিবার থেকে। চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত।
রাজধানীতে এবার মোট ২৩টি স্থানে পশুরহাট বসেছে। হাটে ঢোকার পথে ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা গরু, ছাগল ও মহিষের শারীরিক পরীক্ষা করছেন ।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এবার একটি স্থায়ী এবং ২২টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসছে। এগুলোর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪টি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৯টি হাট রয়েছে।
মতিঝিলের সন্নিকটে কমলাপুর হাটে গিয়ে দেখা যায় হাটের বেশিরভাগ অংশই ভরে গেছে কোরবানীর গরু, মহিষ ও ছাগলে। হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় এবার চর্বিযুক্ত বড় গরুর চেয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট গরুর চাহিদা একটু বেশি। কোরবানির জন্য মানুষ ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকার গরুই পছন্দ করছেন। এই হাটে ১০ হাজার গবাদিপশু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া থেকে হাটে গরু নিয়ে এসেছেন গরু ব্যবসায়ী আলমগীর। তিনি বাসস’কে বলেন, গরুর দাম এখনো তুলনামূলক বেশি। তবে এখনো সঠিক দাম মূল্যায়ন করা সম্ভব না। কারণ শেষ দুই দিনে গরুর সংখ্যাই দাম নির্ধারণ করে দেয়। যত স্বাভাবিক থাকুক না কেন, কোন কারণে গরুর ঘাটতি হলে দাম লাফিয়ে বাড়বে।
রাজধানীর ভাষানটেক গরু ছাগলের হাটে গিয়ে দেখা যায়, এই হাটটিও দখল করে নিয়েছে দেশি ছোট গরুতে। কুষ্টিয়ার বেপারী খালেক মিয়া বলেন, তিনি ১২টি গরু ও ১০টি ছাগল বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন। এরমধ্যে ৩২ হাজার টাকায় একটি গরু বিক্রি করতে পারায় তিনি খুশি।
মানিকগঞ্জের ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন বলেন, তিনি সোমবার রাতে ১৬টি ছাগল হাটে তুলেছেন বিক্রির জন্য। দুপুর পর্যন্ত তিনটি বিক্রি করেছেন।
রাজধানীর হাজারীবাগের পশুর হাটে ট্রাক ভর্তি গরু-ছাগল নিয়ে আসতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে এতো গরু এসেছে যে, মাঠে আর গরু জায়গা হচ্ছে না। তাই রাস্তা পর্যন্ত হাট চলে এসেছে। এখানে ৪০ থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে একটি মাঝারি সাইজের গরু পাওয়া যায়।