ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর সেতু বন্ধনের ১০০ দিন উপলক্ষে শনিবার ঢাকায় ব্যাংকের ইসলামপুর শাখায় আমদানি-রপ্তানিকারকদের নিয়ে সমাবেশ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (ডি.এমডি) মোঃ মাহবুব-উল-আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক শুরু থেকেই গার্মেন্টস শিল্পে ঋণ প্রদান করে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করিয়েছিল। ছোট-বড়, মাঝারিসহ সকল ধরণের শিল্পে আমরা বিনিয়োগ করে থাকি।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ইসলামী ব্যাংক। বিশ্ব মন্দা পরিবর্তিত অর্থনীতিতে একমাত্র ইসলামী ব্যাংক ব্যাবস্থায় শ্রেষ্ঠত্বের সাথে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। তাই বিশ্বব্যাপী ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে।
গত বছরের শেষের দিকে ডলার সংকটের কারনে যখন অন্যান্য ব্যাংকগুলো হা-হুতাশ করছিল। তখন ইসলামী ব্যাংকে কোন প্রভাব পড়েনি। সুদের কুফলের কারণে পৃিথবীতে আজ মানুষ ক্ষুধার্ত থাকছে। ইসলামী শরীয়া অনুমোদন করেনা এমন কোন বিষয় ইসলামী ব্যাংক অনুমোদন করে না।
ওয়ালস্ট্রিট আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক অমুসলিম স্কলারস পর্যন্ত আজ বলতে বাধ্য হচ্ছেন, অমুসলিম দেশে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম প্রচলন করা উচিত।
শাখা ব্যবস্থাপক এস ভিপি আবু সাঈদ মুহাম্মাদ ইদ্রিসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের হেড অফিসের এফটিওডি বিভাগের এ ভিপি কুতুব উদ্দিন, আদনান টেস্কটাইলসের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। ব্যাংকের সংবাদ বিঞ্জপিতে এ খবর জানানো হয়।
প্রিন্সিপাল অফিসার শরিফুল ইসলামের পরিচালনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের ডাইরেক্টর নাছির উদ্দিন আহম্মেদ, আমদানিকারক সুশীল কুমার মোদক, বসুন্ধরা ফেব্রিক্স-এর পরিচালক এস এম ইউসুফ আহমেদ, বস্ত্র ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম সবজল, ইউনিফিল টেস্কটাইলস মিলের কমার্শিয়াল ম্যানেজার রফিউল আজম।
ব্যবসায়ীরা অনুভুতি প্রকাশ করে বলেন, ইসলামী ব্যাংক সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে কজে করে যাচ্ছে। এই ব্যাংকের সাথে সেতুবন্ধন ১০০ দিনের নয়- আমরা চাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেতু বন্ধন অটুট থাকবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ইসলাম প্রিয়। ইসলাম প্রিয় দক্ষ মানুষরা আজ এই ব্যাংক পরিচালনা করছে বলে দ্রুত সমযের মধ্যে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।