প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পুনরায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, আপনাদের সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, কি করে- এ বিষয়ে নজর রাখবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি অভিভাবকের কাছে আমার সেই আহবান- নিজের ছেলে-মেয়ে কি করে, কোথায় যায় কাদের সঙ্গে মেশে, কি পড়াশোনা করছে- সে বিষয়ে খবর রাখবেন। তাদের সমস্যা যদি কিছু থাকে সেটা শোনা এবং তাদের সাথে আরো ঘনিষ্ট হওয়া। পারস্পরিক একটি আস্থার সম্পর্ক তৈরি করা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে বিজিবি সদর দফতর পিলখানার ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে বিজিবি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘সীমান্ত বাংক’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের ’৭৫-এর পর থেকেই এদেশে নানাভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দেখা দিয়েছে। আজকে এই জঙ্গিবাদ দমনে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ। এখানেও আপনারা যারা উপস্থিত সকলেরই একটা দায়িত্ব রয়েছে- আমাদের ছেলে মেয়েরা কেউ যেন এই জঙ্গিবাদের সাথে যুক্ত না হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান, ব্যাংক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সীমান্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ স্বাগত বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিনবাহিনী প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ উচ্চপদস্থ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী প্রথম গ্রাহক হিসেবে নব প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটিতে একটি একাউন্ট খোলেন।
অনুষ্ঠানে সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোখলেসুর রহমান ব্যাংকটির ওপর একটি অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সমগ্র দেশবাসী আজ ঐক্যবদ্ধ। কাজেই এই সম্পর্কে কারও কাছে কোন তথ্য থাকলে তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পৌঁছে দেবেন, যাতে করে আমরা বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত রাখতে পারি। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি করতে পারি এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এই বিপথে চলে না যায়।
ইসলাম শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধর্ম কখনও হত্যাকান্ডকে সমর্থন করে না। হত্যার পথ ইসলামের পথ না, শান্তির পথই ইসলামের পথ। কিন্তু দুর্ভাগ্য আজকে যারা এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে তারা সবথেকে ক্ষতি করছে ইসলাম ধর্মের। ধর্মের ওপরই তারা একটি দুর্নাম দিয়ে দিচ্ছে। মানুষের কাছে আমাদের পবিত্র ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করছে, প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজেই এই পথ পরিহার করে সবাই যেন সুস্থ পথে ফিরে আসে । এজন্য যার যার কর্মস্থলে প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন- সেটাই আমি আশা করি।’