যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ২৯ আগস্ট তার ঢাকা সফরকালে ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের ও প্রশস্ত সম্পর্ক’র কথা তুলে ধরে গণতন্ত্র, উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব জোরদারের বিষয় আলোচনা করবেন।
ওয়াশিংটনে আজ সকালে ইউএস স্টেট ডিপার্টন্টে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ২৯ আগস্ট ঢাকা সফরকালে দীর্ঘদিনের ও প্রশ্বস্ত ইউএস-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন।’
জন কেরি ২৯ আগস্ট ঢাকা পৌঁছাবেন এবং সন্ধ্যা অবধি অবস্থানসহ বৈশ্বিক ইস্যুসমূহ নিয়ে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার বিষয় সম্পর্কে সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
সিনিয়র ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন জন্য কেরি ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় দিল্লীর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী আগামী সপ্তাহে কেরির ঢাকা সফরের বিষয় নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘তিনি (কেরি) আসছেন… আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
গতকাল এখানে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজে (বিস) এক সেমিনারের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাহমুদ আলী বলেন, কেরির ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের সকল দিক নিয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উভয় পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে এই সফর নিয়ে আলোচনা করে আসছে। ‘এখন আমরা আসছে সফরের প্রস্তুতির প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি।’
এখানে কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ঢাকায় দিনব্যাপী ব্যস্ততম ঢাকা সফরে কেরি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
জন কেরি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। সেখানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পুরো বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পেননি প্রিটজকার নয়াদিল্লীতে ৩০ আগস্ট দ্বিতীয় ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল ডায়ালগের (এসএ্যান্ডসিডি) যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র পক্ষের সভাপতিত্ব করবেন।
ভারতীয় পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারাম সভাপতিত্ব করবেন।