সরকার জনগণের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে চলতি বছরের অক্টোবর নাগাদ জাতীয় গ্রিডে আরো ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ করতে প্রস্তুত রয়েছে। ফলে এ সময় দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ১৫ হাজার ১৩১ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এ বছরের নভেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ চলাকালে ‘১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা’ উদযাপন করবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন আজ এখানে বাসসকে বলেন, ‘ সৌভাগ্যক্রমে এ সময় দেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করে অতিরিক্ত উৎপাদন করবে ১৩১ মেগাওয়াট।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৪ হাজার ৫শ’ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে এবং ৭৬ শতাংশ লোক বিদ্যুৎ সুবিধা উপভোগ করছে। তিনি আরো জানান, কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও গতিশীল নেতৃত্বের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সরকার ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সঞ্চালন ও সরবরাহ লাইন বাড়ানো এবং অন্যান্য সেক্টরের সক্ষমতা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায় শিকলবাহা ২২৫ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট শিগগিরই চূড়ান্তভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে এবং এটি ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে।
এই পাওয়ার প্লান্টের একজন কর্মকর্তা জানান, শিকলবাহা প্লান্ট ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রস্তুত রয়েছে যদি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ গ্রিড কোম্পানি লিমিটেড জাতীয় গ্রিডে এই বিদ্যুৎ নিতে আগ্রহী নয়। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই প্লান্টে ৯৫ ভাগ স্থাপন কাজ সম্পন্ন করেছি।’
পিডিবি সূত্র জানায়, অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে এ বছরের ৩০ জুন কোনো একক দিবসে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে।
এর আগে এ বছরের ১৬ জুন ৮ হাজা ৩৪৮ মেগাওয়াট, ৯ এপ্রিল ৮ হাজার ৩৪৮। গতবছরের ৭ জুলাই ৮ হাজার ৩২ মেগাওয়াট, ১ জুলাই ৭ হাজার ৯২৩ মেগাওয়াট। ২০১৪ সালে সালের ১৮ জুলাই ৭ হাজার ৪১৮ মেগাওয়াট এবং ২০১৩ সালের ১২ জুলাই ৬ হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।