রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কোন কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কনসালটেন্সি ফি খুবই বেশি উল্লেখ করে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে পল্লীর দরিদ্র মানুষের জন্য চিকিৎসা সুবিধা সামর্থের মধ্যে রাখতে চিকিৎসা ফি কমানোর জন্য তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, অনেক চিকিৎসকের চিকিৎসা ফি সাধারণ মানুষের সামর্থের বাইরে হওয়ায় আমরা চিকিৎসা ব্যয় কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
রাষ্ট্রপতি আজ ঢাকায় বাংলাদেশ কমিউনিটি ওফথালমোলজিকেল সোসাইটির (বিসিওএস) এর দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদেরকে এটি মনে রাখতে হবে, অনেক স্বাস্থ্য সেবা প্রার্থীর সক্ষমতা সিমিত। তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং স্বল্প খরচে চিকিৎসা প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতি রোগীদের প্রতি আরো আন্তরিক হতে চিকিৎসকদের প্রতি আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, মানবতার সেবা করা হচ্ছে চিকিৎসকদের প্রধান দায়িত্ব এবং চক্ষু চিকিৎসকগণ বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে পল্লীর দরিদ্র লোকদের চক্ষু চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
তিনি বলেন, দেশের বিপুল সংখ্যক লোক চোখের যথাযথ যতœ না নেয়ায় এবং চোখের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকায় রাতকানা রোগসহ নানা ধরনের চক্ষু রোগে ভুগছে।
নিরাময়যোগ্য চক্ষু রোগ কমিয়ে আনতে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, চোখ মানব দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধের জন্য সময়মতো পদক্ষেপ নিলে চক্ষুরোগ কমিয়ে আনা সম্ভব।
রাষ্ট্রপতি সম্মেলন সম্পর্কে বলেন, এখানে দেশের এবং বিদেশ থেকে আসা চক্ষুচিকিৎসক এই সমাবেশ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এই সম্মেলন থেকে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে নতুন নতুন ধারণা সৃষ্টি করবে এবং দেশে চক্ষু চিকিৎসার মান আরো উন্নত হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিসিওএস’র সভাপতি ডা. শরফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নূরুল হক এবং বিসিওএস’র মহাসচিব ডা. এনামুর রহমান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে চক্ষু চিকিৎসায় বিশেষ অবদান রাখায় ১৪ জন চক্ষু চিকিৎসককে সম্মাননা জানানো হয়।