মওদুদরা আদালতে ওয়াকআউটের সংস্কৃতি চালু করছে: কামরুল

মওদুদরা আদালতে ওয়াকআউটের সংস্কৃতি চালু করছে: কামরুল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতে ওয়াকআউটের নতুন সংস্কৃতি চালু করতে চাইছে উল্লেখ করে আইন প্রতিমিন্ত্রী অ্যাডভোটেক কামরুল ইসলাম বলেন, সংসদে ওয়াকআউটের কথা শুনেছি কিন্তু আদালত থেকে ওয়াকআউট করা যায় এটা জানতাম না। বাংলাদেশ কেন বিশ্বের কোনও আদালতেই এ ওয়াকআউটের সিস্টেম নেই।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জনতার প্রত্যাশা আয়োজিত বর্তমান প্রেক্ষাপট ও বিএনপি জামায়াতের অপতৎপরতা ও আমাদের করণীয় শীর্ষ আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের বিরুদ্ধে বিএনপির করা অভিযোগ সম্পর্কে কামরুল বলেন, ১৯৯২ সালের গণআদালতের যে বিচারের কথা বলা হচ্ছে তা ছিলো প্রতীকী। এটা কোনও আইনি বিচার ছিলো না, গণজাগরণই ছিলো সে বিচারের মূল লক্ষ্য। সেখানে সদস্য হিসেবে নিজামুল হকের নাম ছিলো ২৫ নম্বরে।

তিনি বলেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক থাকার পরও তিনি বিচারপতি হতে পেরেছিলেন। তাহলে নিজামুল হক কেন পারবেন না? তাছাড়া কেউ একজন বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এসব অভিযোগ আর মানায় না।

২০১২ সালকে বিচারের বছর উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, এ সালের মধ্যেই সকল যুদ্ধাপরাধী ও দুর্নীতিবাজের বিচার করা হবে। এ ক্ষেত্রে সকল বাধাকে উপেক্ষা করা হবে।

তিনি বলেন, কোটি কোটি টাকা পাচার করা তারেক-মামুনকে ও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিএনপি বিভিন্ন ইস্যুতে মিথ্যাচারের মাধ্যমে মাঠ গরম করছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, হাওয়া ভবনে দুর্নীতির কারুকার্ হতো। ওই হাওয়া ভবনই ছিলো দুর্নীতির কারখানা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার আদর্শের রাজনীতির দর্শন হারিয়ে ফেলেছে। এখানে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে রাজনীতির দর্শনেরও পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জনতার প্রত্যাশার আহ্বায়ক ও কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমও করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর