বাংলাদেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে বিশেষ একটি পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কর্মসূচির আওতায় দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়। এ তহবিল থেকে উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ সুদহারে ঋণ পান। এতোদিন ঋণের বিপরীতে জামানত রাখার নিয়ম ছিল। তবে বৃহস্পতিবার এক পরিপত্র জারি করে জামানত ছাড়াই ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত বছরের ২ জুন দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম পরিচালনার নীতিমালা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ। ওই নীতিমালার ৮(খ) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে গতকাল পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উক্ত ঋণের জন্য প্রযোজ্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত বর্তমান অনুসৃত অন্যান্য নীতিমালা যেমন- আবেদনপত্র গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণের সময়কাল, ঋণ গ্রহীতার যোগ্যতা নিরূপণ, পাস বইয়ের ব্যবহার, ঋণ বিতরণ, ঋণের সদ্ব্যবহার, তদারকি ও আদায় প্রক্রিয়া যথারীতি অনুসৃত হবে। তবে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনোরূপ সহায়ক জামানত গ্রহণ করা যাবে না।
দেশের বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান, পুষ্টি চাহিদা পূরণসহ গুঁড়োদুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রির আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ার্থে দুগ্ধ উত্পাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন অতীব জরুরি। এ লক্ষ্যে গাভী ক্রয়, লালন-পালন এবং কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে সংকর জাতের গাভী পালনের জন্য বিদ্যমান ঋণ সুবিধার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন এ তহবিল চালু করে। যাতে করে এই খাতে অধিকতর ঋণ প্রবাহ নিশ্চিত করা যায়। তবে জামানতের শর্ত থাকায় প্রান্তিক খামারি ও নারীদের ঋণপ্রাপ্তিতে সমস্যা হচ্ছিল। এ প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিমালায় পরিবতর্ন এনেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি বকনা বাছুর ক্রয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা এবং রক্ষণাবেক্ষণ বা লালন-পালনের জন্য ১০ হাজার টাকা তথা প্রতিটি বকনা বাছুরের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা যাবে। এক উদ্যোক্তাকে সর্বোচ্চ ৪টি বকনা বাছুর ক্রয়ের দুই লাখ টাকা ঋণ প্রদান করতে পারবে ব্যাংকগুলো।